বিশ্বনাথ (অসম) :  গুয়াহাটিতে ১০ বছর আগে এক আন্দোলন চলাকালে অসমের গুয়াহাটিতে একজন আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে নিগ্রহর ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও অসমের বিজেপি সাংসদ রাম প্রসাদ শর্মার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন লক্ষ্মী ওরাং নামে ওই মহিলা। মহকুমা বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে ভারতীয় দণ্ডবিধি ও তথ্য-প্রযুক্তি আইনের বিভিন্ন ধারায় তিনি আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ছবি শেয়ারের অভিযোগে তিনি রাম প্রসাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছেন। আদালত ওরাংয়ের বয়ান রেকর্ড করেছে। মামলার শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে ২২ জুন।
২০০৭-এ ২৪ নভেম্বর গুয়াহাটির বেলতোলায় অল আদিবাসী স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অফ অসম (এএএসএএ)-র বিক্ষোভের সময় ওই মহিলাকে নিগ্রহের ঘটনা ঘটে।
ওরাং সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, তিনি কোনও বিশেষ দলের হয়ে ওই আন্দোলনে যোগ দেননি। আদিবাসী সম্প্রদায়ের তপশিলী জাতির মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানাতেই তিনি এসেছিলেন। ওরাংয়ের অভিযোগ, কিন্তু এ বিষয়টি না জেনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পেজে আদিত্যনাথ দাবি করেছেন যে, ওই সমাবেশ ছিল বিজেপির। সমাবেশে কংগ্রেস সমর্থকরা হামলা চালিয়েছিল।
ওরাংয়ের প্রশ্ন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও-এর প্রচার করছেন। সেখানে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এ ধরনের কাজ করছেন। এটা কি গণতন্ত্র?
এ ব্যাপারে বিজেপি সাংসদ বলেছেন, ওই মহিলাকে বিবস্ত্র করার ঘটনা ঘটেছিল। ওই মহিলা এখনও সুবিচার পাননি। এই ঘটনার কথা সবাই যাতে জানতে পারেন, সেজন্যই তিনি ছবিটি শেয়ার করেছিলেন। শেয়ার করা পোস্টে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি বলেও জানিয়েছেন রাম প্রসাদ।  বিজেপি সাংসদ আরও বলেছেন, ওই ঘটনায় দোষীরা যাতে সাজা পায় সেজন্য মামলার নতুন করে তদন্ত করার আর্জি জানিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখছেন।
এদিকে, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (স্পেশ্যাল ব্র্যাঞ্চ) পল্লব ভট্টাচার্য বলেছেন, তদন্তে দেখা গিয়েছে, যে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছিল তা ভুয়ো। আদিত্যনাথের নাম দিয়ে ওই অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছিল।
অন্যদিকে, এএএসএএ ওই পোস্টকে অবৈধ ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতি অবিচার বলে মন্তব্য করেছে।