নয়াদিল্লি: সেনা মোতায়েন ইস্যুতে সংসদে সরব তৃণমূল। সমর্থন কংগ্রেসের। রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে কেন সেনা মোতায়েন হয়েছে, প্রশ্ন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যয়ের।

তৃণমূলকে পাল্টা আক্রমণ করে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের দাবি, এটা রুটিন কর্মসূচী, এব্যাপারে রাজ্যকে আগে থেকে জানিয়েছিল সেনা। পরে পুলিশের অনুরোধে দিন বদল হয়। তিনি বলেন, এখন যা হচ্ছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এমন আচরণ দুর্ভাগ্যজনক বলেও মন্তব্য করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ তৃণমল শুধু শুধু বিষয়টাকে নিয়ে এতটা বিতর্কের সৃষ্টি করছে। রাজ্যসভাতেও সেনা মোতায়েন নিয়ে সরব হয় তৃণমূল। সমর্থন জানান বিরোধীরা।



সংসদের দুই কক্ষে রাজ্যে সেনা মোতায়েন নিয়ে সরব তৃণমূল। এই ইস্যুতে তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের থেকে জবাবদিহি দাবি করেছে অন্যান্য বিরোধী দলগুলোও। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, রাজ্যে এভাবে সেনা মোতায়েন সম্পূর্ণ সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করার সামিল। এছাড়া তিনি আরও অভিযোগ করেন, দেশে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরির করার জন্যে এইধরনের কাজ করছে বিজেপি।

এদিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই কর্মসূচীর প্রেক্ষিতে একাধিক টুইট করা হয়েছে। সেখানে মেজর জেনারেল সুনীল যাদব জানিয়েছেন,





 



 


তৃণমূলনেত্রীর আরও অভিযোগ, বুধবার তাঁর বিমানকে অবতরণের আগে যেভাবে কলকাতার আকাশে চক্কর কাটানো হয়, সেটাও একটা ষড়যন্ত্র। এপ্রসঙ্গে ভেঙ্কাইয়া নাইডুর মত, বিমানে সেদিন মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আরও যাত্রী ছিল। এরমধ্যে কোনও ষড়ষন্ত্র নেই। ভেঙ্কাইয়ার অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনাগুলোকে শুধু শুধু ইস্যু বানিয়ে আসল বিষয় থেকে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন। প্রসঙ্গত, দেশের এইমুহূর্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা কালো টাকা, আর সেটা নিয়ন্ত্রণ করাই এখন মূল লক্ষ্য কেন্দ্রের।

কেন্দ্রকে পাল্টা আক্রমণ করে তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রের বিভিন্ন পদক্ষেপ দেখে মনে হচ্ছে, বাংলায় জরুরি অবস্থা জারির চেষ্টায় রয়েছে কেন্দ্র।