জয়পুর: প্রায় একমাসের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের পর মরুরাজ্যের বিধানসভায় আস্থা ভোটে জয় অশোক গৈহলৌত সরকারের। এদিন রাজস্থান বিধানসভায় ধ্বনি ভোটে আস্থা ভোটে জয়ী হল কংগ্রেস সরকার।


উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পায়লট সহ ১৮ জন কংগ্রেস বিধায়ক বিদ্রোহ ঘোষণা করায় রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারে সংকট দেখা যায়। যদিও গেহলৌত ও কংগ্রেস প্রথম থেকেই দাবি করে, সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। সচিন পায়লটকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

এরপর বিধানসভার অধিবেশন ডাকা নিয়েও জোর টালবাহানা চলে। অবশেষে রাজ্যপাল অধিবেশনে সম্মতি দেন। ইতিমধ্যে রাজস্থান বিধানসভার অধ্যক্ষর বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কদের পাঠানো কারণ দর্শানোর নোটিশ ঘিরে মামলা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছয়। এরইমধ্যে বিধানসভা অধিবেশেনের আগে সচিন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠকের পর সচিনের দলের সঙ্গে সমঝোতার পথ প্রশ্বস্ত হয়।

এদিন প্রায় আস্থা প্রস্তাবের ওপর তিন ঘন্টার আলোচনার পর সরকার ধ্বনি ভোটে জয়ী হয়।

রাজস্থানের আইন ও পরিষদীয় মন্ত্রী শান্তি কুমার ধারিওয়াল বিধানসভায় আস্থা ভোটের প্রস্তাব পেশ করেন। অধ্যক্ষ সিপি জোশী আলোচনার প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের জন্য তিন ঘন্টা সময় ধার্য করেন। আলোচনার শুরু করে ধারিওয়াল বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, বিজেপি কংগ্রেস বিধায়কদের কেনার চেষ্টা করেছিল। নাম না করে গজেন্দ্র শেখাওয়াতকেও একহাত নেন তিনি। ধারিওয়াল এ প্রসঙ্গে বলেন, গজেন্দ্র রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
জবাব দিতে গিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা রাজেন্দ্র রাঠৌর বলেছেন, গত একমাস ধরে যে নাটক চলেছে, তা দেখেছেন রাজ্যের মানুষ। অভিনেতা, নায়ক, খলনায়ক সব একটি দলেরই। কংগ্রেসের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মাশুল গুণতে হয়েছে রাজ্যের মানুষকে। গেহলৌত নিজেই বলেছেন, দেড় বছর তিনি উপমুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেননি। এভাবে সরকারের কাজ কীভাবে মসৃণ গতিতে চলতে পারে? যে পার্টি হাতি কেনাবেচায় জড়িত, তারা কীভাবে আমাদের বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ আনতে পারে?