নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদী সরকার বাছবিচার, বৈষম্য না করেই উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। সংখ্যালঘুদের মোদীর ৪ বছরের শাসনে দ্রুত উন্নয়ন হয়েছে। দিল্লির আর্চবিশপের মন্তব্যের জবাবে বলেছেন মুখতার আব্বাস নকভি। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী এও বলেছেন, লোকে মোদী সরকারকে পক্ষপাতদুষ্ট মনোভাব থেকে বিচার করলে এই অগ্রগতি বুঝতে পারবে না। দিল্লির আর্চবিশপকে পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি ঝেড়ে ফেলে প্রগতিশীল মানসিকতা দেখাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সার্বিক বিকাশের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে কাজ করেছেন, ধর্ম, সম্প্রদায়, জাতপাতের বেড়াজাল ভেঙে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নকভি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা জোরদার হয়েছে। কিছু বিচ্ছিন্ন, ছুটকো লোকজন সংখ্যালঘুদের নিশানা করে কিছু ঘটনা ঘটালেও কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারগুলি তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে। ওনাকে আবেদন করছি, একসঙ্গে বসতে পারলে আমি বলতে পারি, কত দ্রুত গত ৪ বছরে দেশে সংখ্যালঘুদের অগ্রগতি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কে জে আলফোন্স একটি সংবাদ চ্যানেলকে বলেন, কার্ডিনাল গ্রেসিয়াস (বম্বে অসওয়াল্ড কার্ডিনাল গ্রেসিয়াস) ও অন্য শীর্ষ বিশপদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর পাশে আছেন। বিক্ষিপ্ত কিছু লোকজন থাকেই যারা প্রধানমন্ত্রীকে সহ্য করতে পারে না। গডম্যানদের রাজনীতি থেকে দূরে থাকাই কাম্য। নেতিবাচক ছবি দেখানো তাদের কাজ নয়। যে চিঠিটি লেখা হয়েছে, তাতে তোলা প্রসঙ্গগুলি ঠিক নয়। চার্চের অসন্তোষ থাকার কোনও কারণই থাকার কথা নয়। আমি ওঁদের বলেছি, প্রধানমন্ত্রী গত ৬৫ বছরে অন্য যে কারও থেকে বেশি করেছেন গরিবের জন্য। ওই সম্প্রদায়ের যখনই কোনও সমস্যা হয়েছে, এই সরকার তার সাধ্যের অতিরিক্ত করেছে। ক্যুটোর মন্তব্যে সরকারের প্রতি ন্যয়বিচার হয়নি।
ট্যুইট করে আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ বলেছেন, চার্চ ইতালি থেকে নির্দেশ নেয় আর ছদ্মবেশী ধর্মনিরপেক্ষ বাহিনী ফতোয়া পাকিস্তান থেকে মদত পায়। শীঘ্রই এমন দিন আসবে যখন হিন্দুরা এটা বুঝতে পেরে ভারতকে বাঁচাতে উভয়কেই চুরমার করে দেবে।




সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত ক্যুটো বলেন, আমি এটাই বলতে চেয়েছি, সপ্তাহে একদিন সময় খরচ করুন দেশের জন্য, বিশেষত এই কারণে যে নির্বাচন আসছে, সরকার নিয়ে ভাবনা আমাদের সবার। সুতরাং এটা নরেন্দ্র মোদী সরকার বা আর কারও সম্পর্কে নয়। তিনি এও বলেন, দেশে যা ঘটছে, সেসব মাথায় রেখে লেখা চিঠিতে পরবর্তী নির্বাচন, সরকারের প্রসঙ্গও রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে আমাদের ভাবতে হয়ই। আমাদের আলোচনায় ভোট নিয়ে কথা হয় কেননা সরকার আমাদের জন্যও। আমরা সরকার থেকে আলাদা থাকতে পারি না। আমরা এই প্রার্থনাই করি যে, এমন এক সরকার চাই যারা মানুষের স্বাধীনতা, অধিকার ও খ্রিস্টানদের মঙ্গলের কথা ভাববে।
ক্যুটোর প্রার্থনার বয়ানে বলা হয়েছে, প্রকৃত গণতন্ত্রের চেতনা আমাদের নির্বাচনকে সমৃদ্ধ করুক, সত্ দেশপ্রেমের শিখায় আমাদের রাজনৈতিক নেতারা প্রাণিত হোন।