গুরুগ্রাম:  গরমের ছুটিতে দাদুর বাড়ি গিয়েছিল যমজ বোন, পাঁচ বছর বয়সি হর্ষা এবং হর্ষিতা। বুধবারই বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাদের। কিন্তু তারা আর ফিরল না, ফিরল ছোট্ট দুটি নিষ্পাপ মানুষের দেহ।

পতৌদিতে জামালপুর নামে এক গ্রামে দাদুর বাড়ির পিছনে একটি পরিত্যক্ত গাড়ির মধ্যে দুই বোন খেলছিল। কিন্তু আচমকাই গাড়ির দরজার লক বন্ধ হয়ে যায়। গরমে ঘণ্টা দুয়েক গাড়ির মধ্যে আটকে পড়ে তারা। আপ্রাণ চেষ্টা করেও গাড়ি থেকে বেরোতে পারেনি। অবশেষে গাড়ির মধ্যেই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাদের।

 দীর্ঘক্ষণ দুই বোনকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ শুরু করে বাড়ির লোক। আচমকাই পরিবারের লোকেরা দেখেন বাড়ির পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা পরিত্যক্ত একটি হুনদাই গাড়ির ভেতর অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে দুই বোন। তাদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে বোঝা গেছে দুই বোন গাড়ির ভেতর থেকে বেরনোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল।

দুই বোনই মেরঠ সেন্ট্রাল স্কুলের ছাত্রী ছিল। দুই বোনের বাবা সেনাবাহিনীতে রয়েছেন। বাবার কথায়, তাঁর সন্তানরা যথেষ্ট বুদ্ধিমতী ছিল, পড়াশোনায় ভাল ছিল, আবার দুষ্টুমিতেও একনম্বর ছিল। তিনি ভাবতেই পারছেন না এভাবে তারা একসঙ্গে এসে আবার সকলকে কাঁদিয়ে একসঙ্গেই চলে যাবে। দুই বোনের ওপর নজর রাখত তাদের ১৮ বছরের তুতো ভাই। গতকাল সে একটি কাজে সেসময় বাইরে গিয়েছিল, তারমধ্যেই ঘটে গেল এই দুর্ঘটনা।