লখনউ: ঝাঁসির মহারানি লক্ষ্মীবাই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক ব্যক্তির কাটা পা তাঁরই মাথার নীচে বালিশ হিসেবে দেওয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসল উত্তরপ্রদেশ সরকার। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দুই চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে।


যে ব্যক্তির সঙ্গে এহেন ভয়াবহ আচরণ করা হয়েছে, তাঁর নাম ঘনশ্যাম (২৮) তিনি একটি বেসরকারি স্কুলের বাসের ক্লিনার। শনিবার ঝাঁসির মৌরানিপুর অঞ্চলে পড়ুয়াদের নিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাসটি। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে মহারানি লক্ষ্মীবাই মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর শরীরে যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য বাঁ পা হাঁটুর নীচ থেকে কেটে বাদ দেন চিকিৎসকরা। পরে সেই পা ওই ব্যক্তির মাথার নীচে দেওয়া হয়। যা দেখে ওই ওয়ার্ডে থাকা অন্য রোগীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

জানকি প্রসাদ নামে ঘনশ্যামের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, ‘আমরা যখন হাসপাতালে আসি, তখন দেখতে পাই ওর মাথার নীচে বালিশের বদলে কাটা পা রাখা আছে। সঙ্গে সঙ্গে এক চিকিৎসককে ব্যবস্থা নিতে বলি। কিন্তু বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি কিছু করেননি। আমরাই বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে বালিশ কিনে আনি।’

এই মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষা সাধনা কৌশিক প্রথমে ঘনশ্যামের আত্মীয়দের উপরেই এই ঘটনার দায় চাপানোর চেষ্টা করেন। তিনি দাবি করেন, ‘ওই ব্যক্তিকে এখানে নিয়ে আসার পরেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। তাঁর মাথা উঁচু করে রাখার জন্য চিকিৎসকরা কিছু একটা খুঁজছিলেন। সেই সময় ওই ব্যক্তির সঙ্গীরা কাটা পা তাঁর মাথার নীচে দিয়ে দেন।’ পরে অবশ্য তিনি জানান, ‘কে ওই ব্যক্তির মাথার নীচে কাটা পা রেখেছিলেন, সেটা জানার জন্য চার-সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমাদের কোনও সদস্য যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’