বিহারের বাসিন্দা ওই শিশুর বাবা-মা তাকে রায়পুর এনেছিলেন হৃদযন্ত্রের একটি অস্ত্রোপচার করানোর জন্যে। রায়পুর পৌঁছে বাচ্চার বাবা সঞ্জীবনি এক্সপ্রেস, যা বিনা পয়সায় অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা প্রদান করে, তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। নবজাতককে ভিম রাও অম্বেদকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যে।
অ্যাম্বুলেন্স এসে শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছেও যায়। কিন্তু নামার সময় দরজা ভেতর থেকে আটকে যায়। শিশুর বাবা অ্যাম্বুলেন্সের জানলা ভাঙার চেষ্টা করলে, তাঁকে সতর্ক করা হয়, সরকারি সম্পত্তি যেন তিনি কোনওভাবেই নষ্ট না করেন। শিশুর বাবা অ্যাম্বুলেন্স কর্মীদের একাধিকবার অনুরোধ করেন গাড়ির দরজা বা জানলা ভাঙতে, কারণ তাঁর সন্তানের হৃদযন্ত্রে সমস্যা রয়েছে। বদ্ধ জায়গায় থাকলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হবে। শেষপর্যন্ত সেই শ্বাসকষ্ট হয়েই মৃত্যু হয় ছোট শিশুর।
যদিও শিশুটির বাবা-মায়ের সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেছেন অ্যাম্বুলেন্স কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি শিশুটি হাসপাতাল পৌঁছনোর আগেই মারা গিয়েছিল। তাঁদের গাড়ির দরজা মিনিট খানেকের জন্যেই আটকে যায়। পরে শিশুটিকে তাঁরা জানলা দিয়ে বের করেন।