নয়াদিল্লি: প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান এস পি ত্যাগীকে আজ আবার জেরা  করবে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, ত্যাগী মোটেই ধোয়া তুলসী পাতা নন । তিন তিনটি সন্দেহজনক সংস্থায় ভালরকম শেয়ার রয়েছে তাঁর। কপ্টার কাণ্ডে সোমবার তাঁকে ১০ ঘণ্টারও বেশি জেরার পর সিবিআই জেনেছে এ কথা।


অভিযুক্ত তিনটি সংস্থাই ভারতে রেজিস্টার্ড। এদের টাকার উৎস নিয়ে রীতিমত ধোঁয়াশা রয়েছে। সিবিআই জানিয়েছে, সংস্থাগুলির দেশে বিদেশে টাকা লেনদেনের ব্যাপারে বিশদ তথ্য জোগাড় করতে অর্থমন্ত্রকের ফিনান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটকে চিঠি পাঠিয়েছে তারা। তারা আরও জেনেছে, ২০১২-য় ইতালির মিলান গিয়েছিলেন ত্যাগী। অভিযোগ, সেখানে তিনি দেখা করেন কপ্টার কাণ্ডের দুই দালাল গুইডো হাসকে ও কার্লো গেরোসার সঙ্গে। তখন ইতালিতে শুরু হয়ে গেছে কপ্টার কেলেঙ্কারির তদন্ত। তাতে নাকি ত্যাগী অত্যন্ত অসন্তুষ্ট ছিলেন। দালালেরা তাঁকে ডাকত ‘গিউলি’ নামে, ইতালীয় ভাষায় যার মানে ‘দারুণ সুন্দরী মেয়ে’। ওটাই ছিল তাদের কাছে ত্যাগীর কোডনেম। ২০০৪ থেকে ২০০৭-এর মধ্যে দুই দালাল ভারত এসে বার ৬-৭ দেখাও করে তাঁর সঙ্গে। প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান নিজেও ২০০৭-এ চাকরি থেকে অবসর নিয়ে বারকয়েক ইতালি যান। দুই দালাল তো বটেই, সেখানে তিনি দেখা করেন ফিনমেকানিকা ও অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ডের দুই সিইও ব্রুনো স্প্যাগনোলিনি ও গিসেপ্পে ওর্সির সঙ্গে। চপার কাণ্ডে এঁরা দুজনেই এখন জেলবন্দি। এখন সিবিআই খতিয়ে দেখছে ত্যাগীর সেই সফরগুলোর খরচ কারা জুগিয়েছিল, তাঁর পরিবারের কারাই বা গিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে। ইতালির আদালতও গত মাসে ত্যাগীকে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে। ত্যাগী নিজে অবশ্য এতদিন ধরে অস্বীকার করে আসছেন সব অভিযোগ। তাঁর দাবি, ভারতীয় বায়ুসেনা, এসপিজি, এনএসএ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগ সকলে মিলে অগুস্তার হেলিকপ্টার কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে তাঁর একার হাত ছিল না।