চণ্ডীগড়: ‘উড়তা পঞ্জাব’ নিয়ে বিতর্কের ফসল কিনা জানা নেই। তবে পঞ্জাবে এই প্রথম পুলিশে চাকরি করতে আগ্রহী যুবক যুবতীদের জন্য আবশ্যিক করা হল ৫ রকম ড্রাগের ডোপ টেস্ট। গোটা দেশেই এ ধরনের পরীক্ষা এই প্রথম। মনে করা হচ্ছে, স্যাম্পল সাইজে বোঝা যাবে, পঞ্জাবে ড্রাগের সমস্যা যতটা গভীর বলে দাবি উঠেছে, আদপে তা সঠিক কিনা। গোটা জুলাই মাসটা ধরে ৬লাখ পঞ্জাবি যুবক যুবতী পুলিশ কনস্টেবলের চাকরির জন্য ডোপ টেস্ট করাবেন। চাকরিতে শূন্যস্থানের সংখ্যা ৭,০০০-এর বেশি। ডোপ টেস্টে যাঁরা উতরোবেন, পুলিশে নাম লেখানোর দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে যাবেন তাঁরা। আর এই টেস্টে পাশ করলে তবেই শারীরিক সক্ষমতা সহ অন্যান্য পরীক্ষানিরীক্ষায় বসার কথা উঠবে। এই পরীক্ষা নিতে জেলা পুলিশকে ফরিদকোটের বাবা ফরিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুগ্মভাবে সাহায্য করবে পঞ্জাব স্বাস্থ্য দফতর।
যুবক যুবতীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া ড্রাগের সমস্যা নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে পঞ্জাবের অকালি- বিজেপি সরকার। আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে 'উড়তা পঞ্জাব' বিতর্ক। সামনে বিধানসভা ভোট থাকায় ইস্যুটি হালকাভাবে নিতে পারছে না রাজ্য সরকার। ফলে পঞ্জাবে ড্রাগ সমস্যা ঠিক কতটা গভীরে, তা দেখতে তাদের এই ডোপ টেস্টের সিদ্ধান্ত। পরীক্ষার ফলের ওপর নির্ভর করবে বিরোধীদের হাতে নয়া অস্ত্র জোগাবে কিনা সরকারের এই সিদ্ধান্ত। আবার বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীই টেস্টে উতরে গেলে ভোটের আগে মুখ পুড়বে বিরোধীদের।