এর ফলে ৯ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যাঙ্কঋণ ফাঁকি দিয়ে বিদেশ চম্পট দেওয়া পলাতক শিল্পপতিকে দেশে ফেরানোর পথে এক ধাপ এগনো গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ভারতে ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া বিপুল পরিমাণ লোন পরিশোধ না করে বিদেশে চলে যাওয়া প্রাক্তন কিংফিশার কর্তাকে ঘোষিত অপরাধী বলা হয়েছে আগেই।
বাগলে এও জানান, ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে হওয়া প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় মাল্যকে নয়াদিল্লির হাতে তুলে দিতে একটি আনুষ্ঠানিক আবেদনও গত ৮ ফেব্রুয়ারি এখানকার ব্রিটিশ হাই কমিশনের কাছে মৌখিক নোটের আকারে পেশ করা হয়েছে। সে সময় ভারত দাবি করে, মাল্যের বিরুদ্ধে যুক্তিসঙ্গত, ন্যায়সঙ্গত অভিযোগ রয়েছে, কাজেই ব্রিটেন তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দিলে বোঝা যাবে, আমাদের উদ্বেগ, ভাবনাকে সম্মান করে তারা।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৭২০ কোটি টাকা আইডিবিআই ব্যাঙ্ক ঋণ খেলাপের মামলায় মাল্যের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল সিবিআই আদালত।
ব্রিটেন থেকে প্রত্যর্পণ হয় বেশ কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নিতে হয় বিচারককে। পরোয়ানা জারি হলে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে প্রাথমিক শুনানির জন্য আদালতে পেশ করা হয়। তারপর হয় প্রত্যর্পণের শুনানি। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। তবে ওয়াান্টেড অপরাধীরও যে কোনও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যে কোনও উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার অধিকার থাকে।