নয়াদিল্লি: নোটকাণ্ডে তোলপাড় দেশ। বিরোধীদের প্রতিবাদে উত্তপ্ত সংসদ।  এরই মধ্যে নতুন পদক্ষেপের পথে মোদি সরকার। সূত্রের খবর, সংসদের চলতি অধিবেশনেই আয়কর আইনে কয়েকটি সংশোধন আনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র, যাতে  নোট বাতিল হওয়ার পর হিসাববহির্ভূত লেনদেন হওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মালিকদের জরিমানা ও কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা যায়।

বৃহস্পতিবার রাতে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, চালু হবে দ্বিস্তরীয় কর ব্যবস্থা। যার প্রথম স্তর হল, নিজের আয় নিজে ঘোষণা। যেখানে অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া হিসাব বহির্ভূত টাকার কথা অ্যাকাউন্টের মালিক নিজেই আয়কর বিভাগকে জানাবেন। সেক্ষেত্রে জরিমানা ও কর মিলিয়ে দিতে হবে ৫০ শতাংশ। বাকি টাকা চার বছর তোলা যাবে না। কিন্তু কেউ যদি অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া হিসাব বহির্ভূত টাকার কথা নিজে না বলেন এবং আয়কর বিভাগ জানতে পারে, তাহলে জমা টাকার ওপর কর দিতে হবে ৬০ শতাংশ। আলাদা করে দিতে হবে জরিমানা।

আয়কর দফতর সূত্রের খবর, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষিত হওয়ার পর তা সাদা করার জন্য নানা উপায় খুঁজে বের করেছেন কালো টাকার মালিকরা। তারই মধ্যে একটি হল, প্রধানমন্ত্রী জন ধন প্রকল্পের আওতায় খোলা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।

কেন্দ্রের হিসেব বলছে, অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে যেখানে জমা ছিল প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা, সেখানে ৮ নভেম্বর নোট বাতিল ঘোষণার পর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত মাত্র ১৪ দিনে জমা পড়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। সরকারের অনুমান, এই ১৪ দিনে জমা হওয়া টাকার বেশিরভাগটাই কালো টাকা। এবিষয়ে সরকার আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যাঁর অ্যাকাউন্ট বা যিনি টাকা জমা দিচ্ছেন, তাঁদের দু’জনের বিরুদ্ধেই করা হবে কড়া পদক্ষেপ।

এবার সেই রাস্তাতেই হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র।

সূত্রের খবর, সংসদের চলতি অধিবেশনেই পেশ হতে পারে এই বিল। কিন্তু সংসদের দুই কক্ষে বিরোধীদের লাগাতার শোরগোল কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে মোদি সরকারের।

কিন্তু আগে যেখানে, জমা পড়া টাকার সঙ্গে আয়ের অসঙ্গতি পেলে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল কেন্দ্র, সেখানে এখন কেন ৫০-৬০-এই আটকে গেল সরকার?