বেনালিম (গোয়া): ব্রিকস সদস্য দেশগুলির  নেতারা একমত যে, সীমান্তপার সন্ত্রাসবাদ ও তার সমর্থক, পৃষ্ঠপোষকদের মোকাবিলাকেই জোটের অগ্রাধিকারের তালিকায় গুরুত্ব দিতে হবে। পাঁচ দেশের এই প্রভাবশালী জোটের বার্ষিক সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানান, সবাই সহমত হয়েছেন যে, যারা সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেয়, তাদের লালন পালন ও পৃষ্ঠপোষকতা করে, তারাও আমাদের কাছে ওদের মতোই সমান বিপদ। এই বিপদ মোকাবিলার প্রয়াস জোরদার করতে হবে, তার গতি বাড়াতে হবে। ব্রিকস-এর মঞ্চ থেকে গৃহীত এই অবস্থানে ভারতের অবস্থানই চাঙ্গা হল, কেননা ‘সন্ত্রাস রপ্তানি করে’, এই অভিযোগ তুলে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার ডাক দিয়েছে ভারত।

মোদী বলেন, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের পিছনে আর্থিক মদতের উত্স খুঁজে বের করা এবং অস্ত্রশস্ত্র, যন্ত্রাংশ সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ সহ সন্ত্রাসবাদের গোটা পরিকাঠামো ধ্বংস করতে হলে নিজেদের মধ্যে গভীর সমন্বয়, যোগাযোগ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছি আমরা। আঞ্চলিক ও বিশ্বশান্তি, স্থিতিশীলতা ও আর্থিক সমৃদ্ধির সামনে সন্ত্রাসবাদ, উগ্রপন্থা ও মৌলবাদ যে বিপদ খাড়া করেছে, তাকে একযোগে চিহ্নিত করেছেন ব্রিকস নেতারা। নিরাপত্তা ইস্যুতে আলোচনা, সহযোগিতা জোরদার করতে দায়বদ্ধতা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

ব্রিকস-এর মূল অ্যাজেন্ডা প্রসঙ্গে মোদী জানান, বিশ্ব অর্থনীতিকে সঠিক রাস্তায় ফেরানোর বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে। সম্মেলনে ‘বিস্তারিত, ফলদায়ক, সার্বিক’ আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব সুশাসন কাঠামো শক্তিশালী করতে বাজার চালিত নীতির ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ব্রিকস রেটিং এজেন্সি গড়ে তোলার সম্ভাবনা নিয়েও সম্মেলনে কথা হয়েছে। তিনি এও বলেন, ব্রিকস-এর অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলিতে সহযোগিতা গড়ে তোলার এক সার্বিক ভিসন রয়েছে গোয়ার এই সম্মেলনের ঘোষণায়।