সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে ডেপুটেশন দিতে স্বাস্থ্য ভবনে যান ডিএসও-র সদস্যরা। পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে স্বাস্থ্য ভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে, পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি বেধে যায়।
রাজ্যে মেডিক্যাল জয়েন্ট এন্ট্রান্স হওয়ার কথা আগামী ১৭ মে। সেই মতো প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রায় ৮০ হাজার পরীক্ষার্থী। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, রাজ্যভিত্তিক কোনও পরীক্ষা হবে না। এমবিবিএস-এ ভর্তি হতে গেলে বসতে হবে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি এন্ট্রান্স টেস্ট বা এনইইটি-তে। প্রথম দফায় অভিন্ন প্রবেশিকা হবে ১ মে। দ্বিতীয় দফায় ২৪ জুলাই। ফল প্রকাশিত হবে ১৭ অগাস্ট।
শুক্রবার সর্বোচ্চ আদালতে কেন্দ্র আবেদন জানায়, চলতি শিক্ষাবর্ষের জন্য এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ভর্তির প্রবেশিকা নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার ও বেসরকারি কলেজগুলিকে অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মতো, মেডিক্যালে প্রথম দফার অভিন্ন প্রবেশিকা হয়েছে রবিবার। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যের পরীক্ষার্থীরা বসতে পারেননি সেই পরীক্ষায়। তাঁদের বক্তব্য, অভিন্ন প্রবেশিকার সিলেবাস আলাদা। পরীক্ষা দিতে হয় শুধুমাত্র ইংরেজিতে। রাজ্যের মেডিক্যাল জয়েন্টের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে সেই পরীক্ষায় বসা সম্ভব নয়।
সূত্রের খবর, উচ্চশিক্ষা দফতর এবিষয়ে মতামত চেয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের। জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড এখনও তার অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেনি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আর রাজ্য প্রশাসনের এই নীরবতার মাঝে পড়ে চরম উদ্বেগে পরীক্ষার্থীরা।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার সর্বোচ্চ আদালতে নতুন করে আবেদন করেছে বেশ কয়েকটি রাজ্য। সেই আবেদনের শুনানি মঙ্গলবার।