নয়াদিল্লি: তথাকথিত গো-রক্ষকদের সঙ্গে বিজেপিকে যুক্ত করাটা ঠিক নয়। কারণ, দল এধরনের কার্যকলাপ সমর্থন করে না। এমনটাই জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ি।


বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি জানান, সরকার মূলত ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ (সবার সঙ্গে সকলের উন্নয়ন)-এর ওপরই নজর দিচ্ছে। সরকারের নীতি কখনই সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যমূলক নয়।


তিনি বলেন, টিভিতে যে কোনও গেরুয়া বসনধারীকে দেখালেই, তার সঙ্গে বিজেপির নাম জুড়ে দেওয়া হয়। সত্য ঘটনা হল, হতে পারে সেই ব্যক্তির সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা ওই ধরনের মানুষকে সমর্থনও করি না।


গডকড়ি মনে করেন, গরু রক্ষার নামে হিংসা একেবারেই বরদাস্ত করা যায় না। তিনি বলেন, এটা আমাদের কর্মসূচির মধ্যে পড়ে না। যারা এরকম কাজ করে, তারা আমাদের লোক নয়। আমরাও তাদের সঙ্গে নেই।


তিনি যোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে এধরনের কার্যকলাপের নিন্দা করেছেন। আমরা সকলে তাই করেছি। তারপরও, আমাদের নামে এসব চালানোর চেষ্টা চলছে।


গডকড়ির অভিযোগ, গো-রক্ষকদের সঙ্গে নাম জড়িয়ে বিজেপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা চলছে। আর এর নেপথ্যে রয়েছে বাম দলগুলি। মন্ত্রীর দাবি, তারাই মূলত বিজেপিকে সংখ্যালঘু-বিরোধী ও দলিত-বিরোধী বলে তুলে ধরছে।


গডকড়ি জানান, গো-রক্ষকদের একটা অংসের বিরুদ্ধে গাড়ি থামানো, মানুষকে মারধর, টাকা আদায় এবং পশু চুরির মতো অভিযোগ উঠেছে। আর এসব কিছুই হয়েছে গো-রক্ষার নামের আড়ালে। এর ফলে, উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার জেরে প্রধানমন্ত্রীকে আসরে নামতে হয়।


আর এসব নিয়ে বহু দেশী-বিদেশি সংবাদমাধ্যম গো-রক্ষক সংক্রান্ত হিংসা, মদ-নিষিদ্ধ ও অ্যান্টি-রোমিও স্কোয়াডের সঙ্গে বিজেপির নাম জুড়ে দিচ্ছে। গডকড়ির মতে, বিজেপি, ভিএইচপি, সংঘ পরিবার বা কেন্দ্র—কেউ এধরনের কাজকে সমর্থন করে না। যদিও, এর সঙ্গেই তিনি মনে করিয়ে দেন, তাঁর দল গো-হত্যাকেও সমর্থন করে না।