নয়াদিল্লি: ঐকমত্য ছাড়া অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করা হবে না বলে জানিয়ে দিল মোদী সরকার।


এদিন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু জানান, পিছনের দরজা দিয়ে অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে নিয়ে আসার কোনও অভিপ্রায় নেই সরকারের। তিনি বলেন, ঐকমত্যের ভিতে ভর করেই এই বিধিকে কার্যকর করার পক্ষে কেন্দ্র।

একইসঙ্গে বিতর্কিত ইস্যুকে নতুন করে ইন্ধন যুগিয়ে নির্বাচনের আগে ভোটারদের প্রভাবতি করতে চাইছে বিজেপিবলে যে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা, তাও এদিন খারিজ করে দেন তিনি।

বেঙ্কাইয়ার দাবি, আসন্ন নির্বাচনে তিন তালাক, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এবং রাম মন্দিরের মতো বিতর্কিত ইস্যুকে হাতিয়ার করবে না বিজেপি। তাঁর আশ্বাস, নির্বাচনে বিজেপির অস্ত্র হবে উন্নয়ন।

তিন তালাক প্রসঙ্গে বেঙ্কাইয়া বলেন, সরকার মনে করে না, এটা ধর্মীয় বিষয়। এটা লিঙ্গ-বৈষম্যের বিষয়। ফলে, এটা বলা ভুল যে সরকার মুসলিমদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে।

তিনি যোগ করেন, এই ভারতীয় সংসদই একদিন হিন্দু বিবাহ আইনকে নিষিদ্ধ করে হিন্দু কোড বিল, ডিভোর্স আইন এনেছিল। পণপ্রথা ও সতীপ্রথাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল একইভাবে।

বিরোধীদের অভিযোগ, অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে পেছনের দরজা দিয়ে কার্যকর করতে তিন তালাক-কে ঢাল করছে সরকার। এদিন সব অভিযোগ খারিজ করে দেন বেঙ্কাইয়া। তিনি বলেন এটা (অভিযোগ) ঠিক নয়।

বেঙ্কাইয়া বলেন, সরকার এখনও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে কোনও আলোচনা করেনি। এই নিয়ে ল’কমিশন জনমানসের থেকে প্রতিক্রিয়া চেয়েছে। তাঁর আশা, তিন তালাক নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্তই নেবে সুপ্রিম কোর্ট।

তিন তালাক প্রথা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের হলফনামাকে সমর্থন করে মোদী সরকারের অন্যতম প্রমুখ প্রবক্তা বেঙ্কাইয়া দাবি করেন, একটা সময় যখন সতী প্রথার বিরুদ্ধে কেন্দ্র সোচ্চার হয়েছিল, তখন কেউ তো বলেলনি যে, এটা হিন্দু-প্রথা। সরকার এর মধ্যে হস্তক্ষেপ করেছে। করে থাকলেও, সকলে মিলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, সময় এসেছে এই প্রথাকে বন্ধ করে এগিয়ে চলার।

তিনি মনে করিয়ে দেন, এক্ষেত্রেও কোনও প্রথা না নিয়ম যদিন বৈষম্যমূলক হয়, তাহলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া কোনও গতি নেই। তিনি বলেন, যে সকল মুসলিম মহিলারা তিন তালাক প্রথার শেষ দেখতে চাইছেন, তাঁরা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।