নয়াদিল্লি: ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন-এর খোঁজ মেলার পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন নির্দেশিকা জারি করল ভারত সরকার।


সম্প্রতি, নতুন ওই ভাইরাসের প্রজাতিকে "অত্যন্ত সংক্রমক ও নিয়ন্ত্রণহীন" বলে উল্লেখ করেছে ইউরোপীয় দেশগুলি। ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল-এর মতে, নতুন এই সার্স-সিওভি-২ স্ট্রেন আরও বেশি সংক্রামক। উপরন্তু, তা তরুণ প্রজন্মের ওপরও আঘাত হানতে সক্ষম।


বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই পুরনো স্ট্রেনের থেকে অন্ততপক্ষে ১৭টি মিউটেশন বা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল স্পাইক প্রোটিনে "এন৫০১ওয়াই" মিউটেশন, যার মাধ্যমে ভাইরাসটি মানব কোষের এসিই২ রিসেপ্টরের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করে। এর ফলে, বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাইরাসের মারণ ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি, তা আরও দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম।


এই প্রেক্ষিতে, দেশের প্রতিটি রাজ্য ও বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে নতুন একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। মন্ত্রক জানিয়েছে, এই নির্দেশিকা দেশের সমস্ত প্রবেশপথে মানতে হবে। একইসঙ্গে গোষ্ঠীর মধ্যেই তা অনুসরণ করতে হবে। বিশেষ করে, যে সকল বিমান যাত্রী গত চার সপ্তাহে (২৫ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর) ব্রিটেন থেকে বা হয়ে এসেছেন, তাঁদের অবশ্যই মানতে হবে।


এক নজরে কেন্দ্রের নির্দেশিকা




  • প্রত্যেক আন্তর্জাতিক বিমানযাত্রীকে গত ১৪ দিনের যাত্রার ইতিহাস বিস্তারিত বিবরণ পেশ করতে হবে। দেশের বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় কোভিড-১৯ RT-PCR পরীক্ষার জন্য "সেল্ফ ডিক্লারেশন" বা নিজে থেকে ঘোষণা করতে হবে।

  • যে সকল যাত্রী ২১ থেকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্রিটেন থেকে এসেছেন, তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে RT-PCR পরীক্ষা করাতে হবে।

  • পরীক্ষা পজিটিভ এলে, তখন স্পাইক-জিন নির্ভর RT-PCR পরীক্ষা করাতে হবে।

  • পজিটিভ যাত্রীদের হাসপাতালের আইসোলেশনে যেতে হবে।

  • কোনও যাত্রীর মধ্যে নতুন কোভিড-১৯ স্ট্রেন ধরা পড়লে তাঁকে বর্তমান চিকিৎসা প্রটোকল অনুযায়ী চলতে হবে। সংক্রমণের তীব্রতা অনুযায়ী হয় হোম আইসোলেশন বা হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

  • কারও মধ্যে নতুন কোভিড-১৯ ভাইরাসের স্ট্রেন পাওয়া গেলে তাঁকে বিশেষ আইসোলেশনে থাকতে হবে।

  • বিমানবন্দরে নেওয়া RT-PCR পরীক্ষা নেগেটিভ হলে হোম কোয়ারেন্টিনের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

  • কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক অনুযায়ী, সব রাজ্যকে এই স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিওর মেনে চলতে হবে।