নয়াদিল্লি: উন্নাও গণধর্ষণের তদন্তে নামল বিশেষ তদন্ত দল বা সিট। ১৮ বছরের একটি মেয়ের ওপর দলবদ্ধ যৌন নির্যাতনে অভিযু্ক্ত হিসাবে নাম জড়িয়েছে বিজেপি বিধায়কের। মেয়েটির বাবা পাপ্পু সিংহকেও কুলদীপ সিংহ সেনগার নামে শাসক দলের ওই বিধায়কের অনুগামীর মারধর করে বলে অভিযোগ। মারের চোটে দুদিন আগে তিনি মারা যান।গতকাল পুলিশ মাখির স্টেশন হাউস অফিসার ও ৫ কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করে। পাশাপাশি বিধায়কের ভাই অতুল সিংহ ও বাউয়া, বিনীত, শাইলু ও সোনু নামে তাঁর চার সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়েছে মেয়েটির বাবাকে পিটিয়ে মারার ব্যাপারে।
ধর্ষিতা দিনকয়েক আগে পুলিশের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাসভবনের বাড়িতে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।আজ সে সাংবাদিকদের বলেছে, তার পরিবার দুর্বল, অসহায়। বিধায়কের শক্তির সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা তাদের নেই। মেয়েটির কথায়, আমরা দুর্বল, আর কোনও শক্তিই অবশিষ্ট নেই আমাদের। সরকার কিছুই করছে না। বিজেপি সরকার সেনগারকে আড়াল করছে। ধৃত অতুল সিংহ শীঘ্রই ছাড়া পেয়ে বেরিয়ে তাদের ওপর হামলা করতে পারে বলে আশঙ্কা মেয়েটির।


সেনগার ইতিমধ্যেই আত্মরক্ষায় দাবি করেছেন, মেয়েটির পরিবার সমাজের নীচুতলার বলে তাঁর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। এর মধ্যেই আবার সেনগারের স্ত্রী সঙ্গীতার দাবি, 'অবাঞ্ছিত অভিযোগে'র জেরে তাঁদের পরিবারের গায়ে কলঙ্কের দাগ লেগেছে, বদনাম সইতে হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি ওপি সিংহের সঙ্গে দেখা করে তিনি তাঁর স্বামী ও ধর্ষিতার নার্কো পরীক্ষা চেয়েছেন। সঙ্গীতা বলেছেন, আমরা ন্যয়বিচার চাইছি। মিডিয়া আমার স্বামীকে এর মধ্যেই ধর্ষক বলেছে। কিন্তু ওনাকে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে। নার্কো টেস্ট হোক। আমাদের দুটো মেয়ে।ওদের মুখও পুড়ছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে আমরা সবাই আত্মহত্য়া করতে বাধ্য হব।

এদিকে সেনগারের বিরুদ্ধে জনরোষ যখন বাড়ছে, সে সময় এবিপি আনন্দের হাতে তাঁর সঙ্গে ধর্ষিতার কাকার টেলিফোনে কথোপকথনের রেকর্ড হাতে এসেছে। শোনা যাচ্ছে, সেনগার মেয়েটির কাকাকে মামলা তুলে নিতে বলছেন।