লখনউ: ভোপালে ট্রেন হামলা ও লখনউয়ের জঙ্গি এনকাউন্টার কাণ্ডে বড় সাফল্য পেল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। বৃহস্পতিবার, এই কাণ্ডের মূল চক্রী তথা প্রাক্তন বায়ুসেনা কর্মী গউস মহম্মদ খানকে কানপুর থেকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা।


এদিন এটিএস-এর এডিজি দলজিৎ সিংহ জানান, এদিন সকালে সন্দেহভাজন ওই জঙ্গির কানপুরের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু ততক্ষণে বাড়িতে তালা পড়ে গিয়েছে। সেখান থেকে খালি হাতে ফিরতে হলেও পরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আরও তিন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। তারই একটি জায়গা থেকে জি এম খানকে পাকড়াও করে এটিএস।


এটিএস সূত্রে খবর, জঙ্গিদের নিয়োগ করা থেকে শুরু করে বিস্ফোরক তৈরি, অস্ত্র জোগাড় এবং মডিউলের সদস্যদের কাজ ভাগ করে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল প্রাক্তন এই বায়ুসেনাকর্মীর ওপর।


তদন্তকারীদের দাবি, ভোপালে ট্রেনে বিস্ফোরণের খবর জিএম খানকেই দেয় সইফুল্লা। পরে, লখনউয়ে গুলির লড়াইয়ে বুধবার ভোরে মৃত্যু হয় সইফুল্লার। এদিন জিএম খানের পাশাপাশি আজহার নামে তার আরও এক সঙ্গীকেও গ্রেফতার করেছে এটিএস।


ইতিমধ্যেই, মধ্যপ্রদেশে ট্রেনে বিস্ফোরণ ও লখনউয়ে এনকাউন্টার দুটি ঘটনায় তদন্তের ভার দেওয়া হচ্ছে এনআইএ-কে। এদিন সংসদে জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। রাজনাথ আরও জানিয়েছেন, লখনউয়ের যে বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল আইএস জঙ্গি সইফুল্লা, সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে ৮টি পিস্তল, ৬৩০টি তাজা কার্তুজ, নগদ দেড় লক্ষ টাকা, তিনটি মোবাইল ফোন, চারটি সিম কার্ড, ২টি অয়ারলেস সেট ও বেশ কিছু বিদেশি টাকা।


মধ্যপ্রদেশ ও উত্তর প্রদেশের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি। টুইটার হ্যান্ডলে প্রণব মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, কোনও দেশই সন্ত্রাস মুক্ত নয়। সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে অবিলম্বে যৌথ পদক্ষেপ নিতে হবে।


গোয়েন্দাদের দাবি, খুরাসান জঙ্গি মডিউলের আরও কয়েকজন সদস্য এখনও ফেরার। লখনউ এনকাউন্টারের পর ওই জঙ্গিরা দিল্লিতে ঢুকে পড়েছে বলে আশঙ্কা। রঙের উত্সবের আগে তাই দিল্লিজুড়ে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। জনবহুল এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।