নয়াদিল্লি: জয় সম্পন্ন হয়েছে। এবার প্রশাসনের দায়িত্ব কার কাঁধে তুলে দেওয়া যায়, তার সম্ভাবনাময় প্রার্থীতালিকা বাছতে বরিবার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসছে বিজেপির সংসদীয় বোর্ড।


শনিবারই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, যোগ্যতা ও সার্বিক গুণাগুণ দেখেই মুখ্যমন্ত্রী বাছা হবে। তিনি আরও জানান, ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সম্বর্ধনা দেওয়া হবে।


রবিবার সকালে অমিত শাহর বাসভবনে একটি বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বেঙ্কাইয়া নাইডু, রাম লাল, মনোজ তিওয়ারি, বিজয় গয়াল, শ্যাম জাজু ও রমেশ ভিদুরি।


বিজেপি সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর দাবিদার হিসেবে বেশ কিছু নাম উঠে এসেছে—


১. রাজনাথ সিংহ: সবচেয়ে পছন্দের প্রার্থী হতে পারেন রাজনাথ সিংহ। রাজনাথ উত্তরপ্রদেশেরই বাসিন্দা। ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদও সামলেছেন। সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে মোট ১০০টি জনসভা করেছেন রাজনাথ।



২. মনোজ সিংহ: দৌড়ে রয়েছেন গাজিপুরের সাংসদ মনোজ সিংহ। শোনা যায়, তিনি মোদী ও অমিত শাহর ভীষণই আস্থাভাজন। আইআইটি ও বিএইচইউ-এর ছাত্র মনোজ বর্তমানে সম্প্রচার ও রেল মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন।



৩. যোগী আদিত্যনাথ: মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড়ে রয়েছেন গোরক্ষপুরের সাংসদ যোগী আদিত্যনাথ। হিন্দুত্বের অন্যতম মুখ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। ‘ফায়ারব্যান্ড’ নেতা হওয়ার দরুন পূর্ব থেকে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে তাঁর ভাল দখল রয়েছে।



৪. কেশব প্রসাদ মৌর্য: উত্তরপ্রদেশে বিজেপির অভূতপূর্ব সাফল্যর নেপথ্যে দলের রাজ্য সভাপতি মৌর্যর ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। যাদব সম্প্রদায় বাদ দিয়ে বাকি পিছিয়ে পড়া শ্রেণির ভোট বিজেপির দিকে টেনে এনেছেন। ফুলপুরের বিজেপি সাংসদ ভীষণই পরিশ্রমী এবং বয়সও কম।



৫. শ্রীকান্ত শর্মা: দৌড়ে রয়েছেন দলের জাতীয় সম্পাদক শ্রীকান্ত শর্মাও। মথুরা থেকে প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়ে তিনি বড় জয় পেয়েছেন। জানা গিয়েছে, অমিত শাহর ভীষণই ঘনিষ্ঠ শ্রীকান্ত। দলে কানাঘুষো, অমিত শাহের কাছে পৌঁছতে হলে, শ্রীকান্তের মাধ্যম দিয়েই যেতে হয়।



৬. সিদ্ধার্থনাথ সিংহ: তালিকার আরেকটি নাম হল প্রয়াত প্রধামনমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি সিদ্ধার্থনাথ সিংহ। ইলাহাবাদ পশ্চিম আসন থেকে তিনি জিতেছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দলের হয়ে তাঁকে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়। অমিত শাহ আগেই জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকার হলে, সিদ্ধার্থনাথকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হবে।