লখনউ: রাজ্যে শিক্ষকদের পুরস্কার দেবে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। এজন্য মাদ্রাসাগুলিকে বলা হল তাদের সেরা শিক্ষকদের নাম সুপারিশ করে পাঠাতে। ১১ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব জেলায় সংখ্যালঘু উন্নয়ন অফিসারদের কাছে আবেদন পাঠানো যাবে।

১৫ বছর পড়ানোর অভিজ্ঞতা থাকলে শিক্ষকরা রাজ্য অধ্যপাল পুরস্কারের জন্য আবেদন পাঠাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংখ্যালঘু উন্নয়ন সংক্রান্ত ডিরেক্টর এন পি পান্ডে।

বিজেপি নেতা রোমান্না সিদ্দিকির দাবি, তাঁদের দল কখনই জাতপাত, ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করে না। আমরা বিভেদমূলক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না, বলেন তিনি। এও বলেন, ধর্ম যা-ই হোক, একজন শিক্ষক তো শিক্ষকই। আর এমন পবিত্র পেশাকে ধর্ম, জাতপাতের সংকীর্ণ কানাগলিতে টেনে আনা অন্যায়।

রাজ্যের সংখ্যালঘু কল্যাণমন্ত্রী লক্ষ্মী নারায়ণ চৌধুরি বলেন, মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষার মান বাড়াতে চায় সরকার। আইটিআই ও স্কিল বা কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত করে মাদ্রাসাগুলির আধুনিকীকরণে নানা ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।

এদিকে মাদ্রাসাগুলিতে স্বাধীনতা দিবস পালনের ছবি তুলে রাখার রাজ্য সরকারি নির্দেশে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সে ব্যাপারে মুখ খুলে মন্ত্রী বলেন, মাদ্রাসাগুলি ভাল কাজ করছে, এটা তুলে ধরাই এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য। যিনি দেশপ্রেমিক, জাতীয়তাবাদী আবেগকে শ্রদ্ধা করেন, তিনি কখনই এমন সিদ্ধান্তে আপত্তি জানাবেন না।