লখনউ: তেরঙা উত্তোলন তুলে, জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে দেশের ৭১ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করল উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসাগুলি।


কী ভাবে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হবে, সম্প্রতি সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা রাজ্যের প্রত্যেক মাদ্রাসাকে পাঠায় উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। এমনকী, সেই অনুষ্ঠানে ভিডিও সরকারের কাছে পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়।


এই নির্দেশিকার জেরে মাদ্রাসাগুলিতে ‘বিভ্রান্তির’ সৃষ্টি হয়। অনেক মাদ্রাসা রাজ্য সরকারে নির্দেশিকা অনুযায়ী স্বাধীনতা দিবস পালন করলেও, বহু মাদ্রাসা আবার জানিয়ে দেয়, তাদের কাছে এমন কোনও নির্দেশিকা আসেইনি।


ফিরঙ্গিমহলের দারুল উলুম মৌলানা খালিদ রশীদ ফিরঙ্গিমহলী জানান, ঐতিহ্য অনুযায়ী মাদ্রাসায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। তিনি জানান, প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় এবং পরে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।


ভিডিওগ্রাফির প্রসঙ্গে মৌলানা বলেন, অনেক মাদ্রাসা সরকারি রেকর্ডের জন্য করেছে। অনেকে করেনি। অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য মৌলানা মনে করেন, সরকারি নির্দেশিকা নিয়ে ‘অযথা মাত্রাতিরিক্ত প্রচার’ করা হচ্ছে। তিনি মনে করিয়ে দেন, মাদ্রাসাগুলি বরাবর মহা ধুমধামের সঙ্গে স্বাধীনতা দিবস পালন করে আসছে।


বরেলির কিছু মাদ্রাসা জাতীয় সঙ্গীত গাইতে অস্বীকার করেছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সেই প্রসঙ্গে মৌলানা বলেন, তেমনটা হয়ে থাকলে তা ব্যক্তিগত কারও সিদ্ধান্তে হয়েছে। কারণ, স্বাধীনতার পর থেকে মাদ্রাসায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হচ্ছে।


যদিও, পরোক্ষে যোগী সরকারকে একহাত নিয়েছেন মৌলানা। তাঁর মতে, সরকারের উচিত ছিল শুধু মাদ্রাসা নয়, এই নির্দেশিকা রাজ্যের প্রতিটি স্কুলের জন্য কার্যকর করা।


দারুল উলুম দেওবন্দের মুখপাত্র আশরাফ উসমানিও দাবি করেন, সেখানেও তেরঙা উত্তোলন করে, জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। তিনি জানিয়ে দেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা এইভাবে এই বিশেষ দিন পালন করে চলেছেন। যদিও, তিনিও জানিয়ে দেন, অনুষ্ঠানের ভিডিওগ্রাফি করা হয়নি।