কিলিমাঞ্জারোর শৃঙ্গে ওঠার ছবি পোস্ট করে নীতিশ লিখেছেন, ‘সবার আর্শীবাদ সঙ্গী করে ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে আফ্রিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের শীর্ষে আমাদের তেরঙ্গা ওড়াতে পেরেছি। সবার সাহায্যে নিজের দেশ, রাজ্য ও গোরক্ষপুরের নাম বিশ্বমঞ্চে জানাতে পারলাম।’
দেশে ফেরার পর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে নীতিশকে বাড়ি নিয়ে আসেন তাঁর এলাকার বাসিন্দারা। একাধিক মালা পরে হুডখোলা গাড়ির মাথায় হাসিমুখে বাড়ি ফেরার পথে নীতিশ বলেছেন, ‘সমস্যা কাটিয়ে উঠতে অনেকে সাহায্য করেছেন। সাত মহাদেশের সাত সর্বোচ্চ শৃঙ্গে ওঠা ও প্রত্যেক জায়গায় ভারতের জাতীয় পতাকা ওড়ানোরই স্বপ্ন।’ টানা তিন দিনে পর্বতারোহণ করে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫৮৯৫ মিটার উঁচুতে অবস্থিত মাউন্ট কিলিমাঞ্জারোতে ওঠেন নীতিশ।
এদিকে, গতমাসেই অনন্য নজির গড়েন ১০ জন নেপালি পর্বতারোহীর এক দল। প্রবল ঠান্ডার মধ্যেই তারা বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কে২ আরোহন করেছন। পাকিস্তানের অবস্থিত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৮,২৫১ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত কে২-তে ওঠেন।
শীতকালে প্রবল প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে এর আগে কখনও কেউ কে২ শৃঙ্গ জয় করতে পারেনি। হিমালয়ের কোনও পর্বতচূড়াতেই পৌঁছনোর নজির শীতকালে নেই। আবহাওয়াবিদরা জানান, শীতকালে মাউন্ট এভারেস্ট বা কে২ পর্বতশৃঙ্গে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে ঠান্ডা হাওয়া বয়ে যায়। তাপমাত্রা নেমে যায় হিমাঙ্কের প্রায় ৬০ ডিগ্রি নীচে।
এরকম কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও নেপালের ১০ পর্বতারোহী কার্যত অসাধ্যসাধন করেছেন। পাকিস্তানে পর্বতারোহনের ক্লাবের সভাপতি যে কীর্তিকে কুর্নিশ জানিয়ে বলেছেন, ওরা দেখিয়ে দিল, অসম্ভব কিছুই নয়।