ভাদোহি (উত্তরপ্রদেশ): নিজেদের সংস্থার হিন্দু কর্মচারী প্রয়াত হওয়ার পর তাঁর ১৩ দিনের পারলৌকিক কাজকর্ম প্রচলিত নিয়মরীতি মেনে সারল উত্তরপ্রদেশের হরিরামপুর গ্রামের এক মুসলিম পরিবার। ‘তেহরভি’ বলা হয় অনু্ষ্ঠানটিকে।
ভিন ধর্মের মানুষের প্রতি পরিবারটির এই আচরণ সম্প্রীতির গড়ে দিল বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ৬৫ বছরের মোরারি লাল শ্রীবাস্তব নামে ওই ব্যক্তি কাজ করতেন ইরফান মহম্মদ খান ও ফরিদ খানের কারখানায়। গত ১৩ জুন কাজ করতে করতে আচমকা কোনও বিষাক্ত পোকামাকড়ের কামড়ে তিনি মারা যান। মোরারির আপনার জন বলতে কেউই না থাকায় দেহটি খানদের হাতেই দেওয়া হয়। কারখানার লোকজনদের নিয়ে তাঁরাই মোরারির শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। মঙ্গলবার মোরারির ১৩ দিনের কাজও করেন তাঁরা। কার্ড ছাপিয়ে এলাকার লোকজনকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। কার্ডে ছিল খান পরিবার ও তাদের কারখানার নাম।
মৃত মোরারি তাঁদের কাছে গত ১৫ বছর কাজ করতে করতে ওই পরিবারেরই একজন হয়ে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ইরফান, ফরিদ। ইরফান বলেছেন, উনি পরিবারের একজন বয়স্ক সদস্যের মতো ছিলেন, তাই এমন কারও ক্ষেত্রে যা করা উচিত, সেটাই করেছি আমরা। কিন্তু আমরা ‘তেহরভি’ অনুষ্ঠানের কার্ড বিলি করতে যাওয়ার সময় কেউ কেউ বিস্ময় প্রকাশ করেন।
‘তেহরভি’ খাওয়াদাওয়ার আগে রীতিমাফিক সব মাথা মুড়োনো সমেত সব অনুষ্ঠান, ‘শান্তিপথ’ও পালিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইরফান। ‘তেহরভি’তে হিন্দু, মুসলিম মিলিয়ে হাজারখানেক মানুষ সামিল হন বলে খবর।