নয়াদিল্লি: উরি হামলার পর ভারতের তরফে প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতি। ৭৭৮ কিমি নিয়্ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপ নজরে এসেছে। যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে গোলাগুলি বারুদ মজুত করা হচ্ছে। বায়ুসেনার সঙ্গে সমন্বয় নিঃশব্দে পাকিস্তানের ওপর প্রত্যাঘাতের জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় সেনা জওয়ানরা, দাবি সূত্রের।

প্রসঙ্গত মঙ্গলবার রাতে, ভারতের ওয়াররুমে দীর্ঘক্ষণ সেনাপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই বিস্তারিত ভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী মোদীকে দেখায় ম্যাপের সাহায্যে কীভাবে বালির মডেল ব্যবহার করে হামলা চালানো যাবে পাকিস্তানের মাটিতে। এই বৈঠক ছাড়াও গত দুদিনে আরও দুটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে, সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। সূত্রের দাবি, সেখানে নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে কীভাবে সেনা অপারেশন চালানো যায়, সেবিষয় আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও কীভাবে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন মাধ্যমকে ব্যবহার করা যায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেপ্রসঙ্গেও আলোচনা হয়।

সূত্রের খবর, এইমুহূর্তে যথেষ্ট ভাবনাচিন্তা করে ছক কষে এগোচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। পাকিস্তানের বিভিন্ন জঙ্গি ছাউনিতে হামলা চালানো হলেও, মূলত গোপনেই চালানো হচ্ছে সেইসমস্ত অপারেশন। কেন্দ্রের এক প্রবীণ আধিকারিকের দাবি, কূটনৈতিক স্তরে যদি পাকিস্তানের সঙ্গে সমঝোতা না হয় ভারতের, তাহলে অন্যভাবে আক্রমণ চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যেকোনও রকমের সেনা আক্রমণেই পাল্টা ঝুঁকি রয়েছে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারকেই ভাবনাচিন্তা করতে হবে তারা কোন পরিকল্পনাকে কাজে লাগাতে চায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাত আনতে। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের মুখোমুখি যুদ্ধের সম্ভাবনা এইমুহূর্তে নেই, দাবি সূত্রের। এদিকে, পাকিস্তানও সীমান্তে সেনাবাহিনীর কার্যকলাপ বাড়িয়েছে। মজুত করছে বিভিন্ন সামরিক অস্ত্র।

তবে ভারত ১৫৫ এমএম আর্টিলারি বন্দুক, স্মার্চ রকেট বা ব্রাহমোস সুপারসোনিক ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করে আক্রমণ চালাতে পারে। আবার আকাশপথে যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে পাকিস্তানের বিভিন্ন জঙ্গি ছাউনিতে আক্রমণ চালাতে পারে ভারত।

এরমধ্যেই কেন্দ্র দক্ষিণ কাশ্মীরে প্রচুর সেনা মোতায়েন করেছে। এরফলে নিয়্ন্ত্রণ রেখায় এখন যথেষ্ট সংখ্যায় ভারতীয় সেনা জওয়ান রয়েছে ও নজরদারি চালাচ্ছে।