নয়াদিল্লি: উরি সন্ত্রাসের পর পাকিস্তানকে সবদিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত করার কথা ভাবছে দিল্লি। আবার যদি তারা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে একতরফা গুলি চালাতে শুরু করে বা জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে, তবে নিয়ন্ত্রণরেখা টপকে স্বল্প সময়ের অপারেশন চালাতে পারে সেনা।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও সেনা প্রধান দলবীর সিংহ সুহাগ সাউথ ব্লকে একসঙ্গে বসে পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করেন। সেনার স্পেশাল ফোর্স ব্যবহার করে চকিত অপারেশন চালানো নিয়ে আলোচনা হয়।

উচ্চপর্যায়ের সূত্র থেকে খবর, ভারত যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার ফল খুব শিগগিরই দেখা যাবে কিন্তু এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও ঘোষণা হবে না। ঠিক হয়েছে, পাকিস্তানকে 'সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র' হিসেবে ঘোষণা করা হবে। তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ কমিয়ে দেওয়া হবে। নিয়ন্ত্রণরেখায় অনুপ্রবেশ ও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের চেষ্টা হলে মুখের মত জবাব দেওয়া হবে। এবং সম্ভবত নিয়ন্ত্রণরেখায় পাক চৌকিগুলোর ওপর বোমাবর্ষণ হবে যদিও তা এখনই নয়।

উরি পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করতে প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে সোমবার সারাদিন ধরে একের পর এক বৈঠক সারেন। ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাও। সেখানেই সবরকম কূটনৈতিক ও প্রকাশ্য আক্রমণের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। সরকার সূত্রে খবর, পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক স্তরে ভারতের কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়ার এখন আর কোনও সম্ভাবনা নেই। ২৬/১১-র ডসিয়ার ডিপ্লোম্যাসিও এ ক্ষেত্রে দেখা যাবে না। উরি সন্ত্রাসের জেরে প্রতিটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে একঘরে করে ফেলার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।