এর আগে, সোমবারই প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সেরেছেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ তাঁর বাসভবনে বসেন আর এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে। তাতে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্রীকর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, আইবি, র-এর ডিরেক্টর, স্বরাষ্ট্রসচিব, প্রতিরক্ষা সচিব, বিএসএফ ও সিআরপি-র ডিরেক্টর জেনারেলরা। এছাড়াও ছিলেন স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তারা।
স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব মহর্ষিকে সোমবারই শ্রীনগরে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা বা এনআইএ এই হামলার তদন্ত করবে বলে খবর। এনআইএ-র একটি দল ইতিমধ্যেই উরি পৌঁছে গেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে বিষয়টি তুলবে দিল্লি। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ কড়া আক্রমণ করবেন পাকিস্তানকে।
কীভাবে ঘটেছে রবিবার শেষরাতের হামলা? জানা গেছে, কাঁটাতারের বেড়া কেটে জঙ্গিরা ঢুকে পড়ে সেনাছাউনিতে। অদ্ভুতভাবে, ১০ ফুটের একটি পাঁচিলও টপকায় তারা, অথচ কারও তা নজরে পড়েনি। তারপর ভেতরে ঢুকেই শুরু হয় নির্বিচারে গুলিবর্ষণ। ঘুমন্ত সেনাদের তাঁবুতে গ্রেনেড ছুঁড়ে মারা হয়। শহিদ সেনাকর্মীদের বেশিরভাগই বিহার রেজিমেন্টের। ডোগরা রেজিমেন্টের ২ সেনাও শহিদ হয়েছেন।