নয়াদিল্লি: ভারত-পাক উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই, সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশনে ভাষণ দেবেন সুষমা স্বরাজ। অন্যদিকে, সোমবারই সিন্ধু জলবন্টন চুক্তির পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসছেন নরেন্দ্র মোদী।

সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জে দাঁড়িয়ে সুষমা স্বরাজ পাকিস্তানকে কী জবাব দেন, সেদিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। অন্যদিকে, একই দিনে নয়াদিল্লিতে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে বৈঠকে বসছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। তাহলে কি পাকিস্তানকে জলে মেরে শিক্ষা দিতে চাইছে ভারত? বৈঠকের খবর ঘিরে বিভিন্ন মহলে মাথাচাড়া দিচ্ছে সেই জল্পনা।

সূত্রের খবর, সোমবার দুপুর বারোটায় সাউথ ব্লকে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী। থাকবেন উচ্চপদস্থ আমলারাও। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি বাতিল করলে, সেটা যোগ্য জবাব হবে। কারণ পাকিস্তানের জন্য সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি একটা লাইফলাইনের মতো। শতত্রু, বিপাশা, রবি, সিন্ধু, ঝিলম এবং চন্দ্রভাগা নদীর মধ্যে কোন নদীর জল কে পাবে, তা ঠিক করে দেওয়া হয় সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তিতে। চুক্তি অনুযায়ী, শতদ্রু, বিপাশা এবং রবির জলের অধিকাংশটা পায় ভারত। আর সিন্ধু, ঝিলম, চন্দ্রভাগার বেশির ভাগ জল পায় পাকিস্তান।

অনেকে বলেন, এই চুক্তির সময় ভারত অনেকটা বড় ভাইয়ের মতো ভূমিকা নেয়। পাকিস্তানের তৃষ্ণা মেটাতে নিজের ভাগ থেকে জল পাকিস্তানকে দেওয়া হয়। সিন্ধু, ঝিলম এবং চন্দ্রভাগার জল থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়, তাতেই আলোর মুখ দেখে পাকিস্তানের বহু এলাকা। তাছাড়া সেচের জন্যও পাকিস্তান এই তিনটি নদীর ওপরই নির্ভরশীল। ফলে এই তিনটি নদীর জল না পেলে পাকিস্তানের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়বে। এই পরিস্থিতিতে সোমবারের বৈঠকে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেদিকেই নজর গোটা দেশের।