উর্মিলা জানিয়েছেন, এপ্রিলে বোরিভেলি শহরতলিতে শারদ পওয়ার, মল্লিকার্জুন খাড়গের যৌথ নির্বাচনী সভার আয়োজন করা হয়েছিল অত্যন্ত অস্বচ্ছতার সঙ্গে, যা তাঁকে চরম বিড়ম্বনায় ফেলেছিল। কোন্ডভিলকর তাঁর পরিবারের লোকজনকে ফোন করে ভোটপ্রচারের খরচের টাকার ব্যবস্থা করতে বলেন, প্রচারের অর্থ পাঠাতে কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ আহমেদ পটেলের সঙ্গেও তাঁদের কথা বলতে বলেন।
কোন্ডভিলকর ও পাতিলের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে দলের ভবিষ্যত্ সুন্দর, উজ্জ্বল করতে সাংগঠনিক স্তরে পরিবর্তনও চেয়েছেন উর্মিলা। তাঁর দাবি, বহু বাধা সত্ত্বেও তিনি ভদ্রস্থ প্রচার করতে পেরেছিলেন, দলে ইতিবাচক বদল আনার লক্ষ্যে কয়েকটা ইস্যু তুলে ধরেছিলেন।
এদিকে উর্মিলার চিঠি প্রকাশ্যে আসার পর দেওরাকে আক্রমণ করে নিরুপম ট্যুইট করেন, যে তরুণ নেতা জাতীয় স্তরে দলকে স্থিতিশীল করতে চান, তিনি এক লোকসভা প্রার্থীর অভিযোগ চিঠি মিডিয়া হাউসকে ছাপার জন্য তুলে দিয়েছেন। ভোটের পর দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে ওই চিঠি লেখা হয়। এভাবে তিনি দলকে চাঙ্গা করতে চান?
আবার দেওরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, একজন ব্যক্তির চেয়েও বড় দল, তার আদর্শ। কয়েকটি মহল থেকে কিছু অযাচিত, অশোভন মন্তব্য করা হচ্ছে। এগুলি উপেক্ষা করাই ভাল। কংগ্রেস এরকম নানা ওঠাপড়ার সাক্ষী, এই পর্বও কাটিয়ে উঠবে।
দেওরা ও নিরুপম, দুজনেই চলতি বছর যথাক্রমে দক্ষিণ মুম্বই ও উত্তর মুম্বই থেকে লোকসভা ভোটে লড়েছেন, কিন্তু সফল হননি।
এদিকে নিরুপমকে একহাত নিয়ে মু্ম্বই প্রদেশ কংগ্রেসের সহ সভাপতি জাকির আহমেদ বলেছেন, উনি বড় বড় কথা বলেন বলে মু্ম্বই কংগ্রেসের সবচেয়ে অপ্রিয় নেতা। নির্বাচনের ফলই তার প্রমাণ।
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেওরা এপ্রিল-মে মাসে লোকসভা ভোটের আগে মুম্বই কংগ্রেস সভাপতি পদে নিরুপমের জায়গায় বসেন। রবিবারই দেওরা ইস্তফা দেন। তা নিয়ে নিরুপমের কটাক্ষ, দেওরার দলে জাতীয় স্তরে কোনও পদের লোভ আছে।