নয়াদিল্লি: শ্রীনিবাস কুচিভোটলার হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকায় কর্মরত ভারতীয়দের সুরক্ষার ব্যাপারে মার্কিন প্রশাসন নয়াদিল্লির সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ রাখছে। জানালেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গোপাল বাগলে।
ওলাথেতে জিপিএস-নির্মাতা সংস্থা গার্মিন-এ কর্মরত ৩২ বছর বয়সি শ্রীনিবাস দিনকয়েক আগে কানসাস সিটিতে এক জমজমাট বারে এক মার্কিন নাগরিকের গুলিতে প্রাণ হারান। এটি হেট ক্রাইমের ঘটনা বলেই আপাতত মনে করা হচ্ছে। ঘটনাটি এ দেশে একইসঙ্গে প্রবল ক্ষোভ, উদ্বেগ ও উত্কণ্ঠা তৈরি করেছে। শোনা যাচ্ছিল, ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারের হত্যাকাণ্ড নিয়ে আমেরিকাকে কড়া ডিমার্চে দিয়েছে ভারত। যদিও এ কথা অস্বীকার করেন বাগলে।


বাগলে বলেন, এটা মাথায় রাখতে হবে যে, আমেরিকায় ভারতীয়দের নিরাপত্তার মতো বৃহত্তর বিষয়ে মার্কিন প্রশাসন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। বিষয়টিতে এ দেশের সরকারও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। মার্কিন প্রশাসন ও কানসাসের সিনিয়র কর্তৃপক্ষ শ্রীনিবাসের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর পর তত্পরতা দেখিয়েছে। মার্কিন দূতাবাসের তরফে ওই হত্যাকাণ্ডের কঠোর নিন্দা প্রকাশের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। সেইসঙ্গে উল্লেখ করেন, মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বলেছেন, তাঁর দেশ বিশ্বের সব জায়গা থেকে মানুষজনকে স্বাগত জানায়, মার্কিন কর্তৃপক্ষ শ্রীনিবাসের হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটির বিস্তারিত তদন্ত ও বিচার করবে। কানসাসের সর্বোচ্চ কর্তাব্যক্তিদের কথাবার্তাতেও একই মনোভাব রয়েছে, যাঁরা হাউস্টনে ভারতীয় কনসাল জেনারেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এর ফলে ডিমার্চে পাঠানোর আর কোনও প্রয়োজন থাকে না।
বাগলে এও বলেন, প্রাণের ঝুঁকি নিয়েও বন্দুকবাজকে রুখে দিতে এগিয়ে যাওয়া ইয়ান গ্রিলট নামে তরুণ মার্কিনের কথাও আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়।

প্রসঙ্গত, শ্রীনিবাস হত্যার পর গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসের মুখপাত্র প্রতীক মাথুর এক বিবৃতিতে বলেন, ভারত সরকার এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানাতে মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, দ্রুত তদন্তের দাবিও জানিয়েছে। মার্কিন সরকার হামলার নিন্দা করে আমাদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছে, তারা বিস্তারিত তদন্ত করছে এ ব্যাপারে।