নয়াদিল্লি: আগামী শুক্রবার থেকে পশ্চিম প্রশান্ত সাগরে বিশাল নৌ-মহড়ায় অংশ নিতে চলেছে ভারত। মহড়ায় অংশ নিতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানও। তবে, মহড়ার স্থল ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। কারণ, যে জাপানী দ্বীপের কাছে ওই মহড়া হবে, তাকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে চিন।


দক্ষিণ চিন সাগরে নিজেদের আধিপত্য বিস্তৃত করতে চিন একদিকে যেমন বদ্ধপরিকর, তেমনই পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করে বেজিংকে পাল্টা দিতে প্রস্তুত ওয়াশিংটন এবং টোকিও।

বস্তুত, আদতে ‘মালাবার’ নামের এই নৌ-মহড়ায় ২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছর অংশ নেয় ভারত ও মার্কিন নৌ-বাহিনী। এবার জাপানও যোগ দিচ্ছে। জাপ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য হবে সাবমেরিন-বিধ্বংসী (অ্যান্টি-সাবমেরিন) এবং বিমান-বিধ্বংসী (অ্যান্টি-এয়ারক্র্যাফট) রণকৌশলে পারদর্শী হওয়া।

তবে, মহড়াকে ঘিরে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু অন্যত্র। এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মার্কিন সেনা উপস্থিতি রয়েছে জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের নীকটবর্তী দ্বীপপুঞ্জগুলিতে। এর ফলেই পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে চিন যাতে বেশিদূর যেতে না পারে, তার জন্যই সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে মার্কিন নৌ-বাহিনী।

পাশাপাশি, ওই দ্বীপপুঞ্জে জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং অত্যাধুনিক রেডার স্টেশন বসিয়েছে জাপানও। তাইওয়ানের ২২০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত এই জনমানবহীন দ্বীপপুঞ্জকে জাপানিরা নাম দিয়েছে সেনকাকু। অন্যদিকে, চিনও এই দ্বীপপুঞ্জের ওপর দখল দাবি করে আসছে। তারা আবার এই জায়গাটিকে দিয়াওয়ু নামে ডেকে থাকে।

মঙ্গলবারই দক্ষিণ চিন সাগরে যাতে শান্তি বজায় থাকে, সেই জন্য বিতর্কিত অঞ্চলে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নজর দিতে বলেছে চিন। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ চিন সাগরের অধিকাংশ এলাকায় নিজেদের বলে দাবি জানিয়ে আসছে চিন। প্রতিবছর এই অঞ্চল দিয়ে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বাণিজ্য চলাচল করে। ফিলিপাইন্স, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই এবং তাইওয়ান সকলেই এই সাগরের ওপর দাবি জানিয়ে আসছে। তফাতের মধ্যে,  চিন বাদে বাকি সকলের সঙ্গেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গভীর সামরিক সম্পর্ক রয়েছে।