নয়াদিল্লি: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মঙ্গলবার, মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতে মোদী সুপারিশ করেন, ওয়াশিংটনের উচিত (সেদেশে বসবাসকারী) দক্ষ কর্মীদের অবদানের বিষয়ে ‘ভারসাম্য ও দূরদর্শিতা’ বজায় রাখা।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ২৬ জনের এক প্রতিনিধিদল দেখা করতে আসেন। তাঁদের স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, এতে দ্বিপাক্ষিক আদান-প্রদানের শুভ সূচনা হবে।
মোদী জানান, নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। উভয়ই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করার দায়বদ্ধতা দেখিয়েছেন। ভারত-মার্কিন সম্পর্কের জন্য মার্কিন কংগ্রেসের সমর্থনকে অতি গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন মোদী।
আগত অতিথিদের মোদী নিজের ভাবনা ভাগ করে নেন মোদী। জানান, কোন কোন জায়গায় দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারবে। প্রধানমন্ত্রীর মতে, দুই দেশের মানুষের মধ্যে যত বেশি যোগাযোগ হবে, ততই উভয়ের উপকার।
তিনি দাবি করেন, বিগত বহু বছর ধরেই দুই দেশের নাগরিকরা একে অপরকে সমৃদ্ধ করার কাজ করে গিয়েছে। মার্কিন অর্থনীতি ও সমাজকে সমৃদ্ধ করতে দক্ষ ভারতীয় প্রতিভার ভূমিকার কথাও এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গতমাসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর এইচ-১বি ও এল-১ ভিসা নীতিতে পরিবর্তন আনেন ডোনাল্ট ট্রাম্প। যার জেরে মার্কিন মুলুকে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি সমস্যায় পড়ে। বর্তমানে প্রতিবছর প্রায় ৬৫ হাজার এইচ-১বি ভিসা জারি করা হয়। আর এর বেশিরভাগই অধিকারী হন ভারতীয়রাই।