নয়াদিল্লি দীপাবলীতে বাজির দাপটের পর দিল্লির আকাশ গত সাতদিন ধরে ঢেকে রয়েছে ঘন কুয়াশা, ধোঁয়ায়। বাইরে বেরোলে দিল্লিবাসীর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, চোখ জ্বালা করছে, কারও কারও বমি হচ্ছে, এছাড়া সর্দি-কাশিও হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে দিল্লি সরকার সেখানকার বাসিন্দাদের কাছে আর্জি রেখেছে, খুব দরকার না পড়লে ঘর থেকে না বেরোতে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবুজ আদালত পরামর্শ দিয়েছে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে দিল্লিতে কৃত্তিম বৃষ্টি করানো হোক।

প্রসঙ্গত, দিল্লির প্রতিবেশী রাজ্যগুলোয় ফসল জ্বালানো, পুরনো ডিজেল গাড়ি থেকে বেরনো ধোঁয়ায় দূষিত রাজধানীর আকাশ-বাতাস। এইমুহূর্তে বাতাসে দূষিত পদার্থ পিএম ২.৫-এর ১৫ গুন বেশি উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে, যা যেকোনও মানুষের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।

এরপরই আজ দেশের সর্বোচ্চ পরিবেশ আদালত দিল্লি, পঞ্জাব এবং হরিয়ানা সরকারকে একহাত নিয়ে, মানুষের শরীর নিয়ে ছিনিমিনি খেলার জন্যে কড়া ভাষায় সমালোচনা করে। তিন রাজ্যের তরফে সমস্ত আইনজীবীরা আদালতের কথা মেনে নিয়ে জানায়, তাঁদের রাজ্য সত্যিই দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্যে এখনও পর্যন্ত কোনও জরুরি পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি। আদালত সরাসরি রাজ্যের পক্ষের উকিলদের প্রশ্ন করে, দূষণ মোকাবিলায় কেন কৃত্রিম বৃষ্টি সৃষ্টি করা হয়নি দিল্লি ও তার আশপাশের রাজ্যগুলোয়।

আদালতের তোপ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতিকে গ্যাস চেম্বারের সঙ্গে তুলনা করেছেন। সেখানে সমস্ত স্কুল, কলেজ, নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হয়েছে, পুরনো ডিজেল গাড়ি ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির ভাবনা চিন্তা হচ্ছে। কিন্তু এইমুহূর্তে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেরকম কোনও পদক্ষেপই গ্রহণ করা হয়নি।

এই খবর সংক্রান্ত আরও তথ্য জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

১৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ আবহাওয়া এখন দিল্লিতে, সরকার দায়ী করল ফসল জ্বালানোকে

প্রচণ্ড দূষণ: দিল্লির সব পুরসভা স্কুল আজ বন্ধ

ধোঁয়াশার চাদরে মোড়া দিল্লি, শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা বাড়ছে