জৌনপুর: মেয়েকে সাপে কেটেছিল। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে দৌড়েছিলেন বাবা। কিন্তু প্রাণে বাঁচেনি আদরের মেয়ে। কিন্তু তারপর মেয়ের দেহ নিয়ে বাড়ি ফিরতে চেয়ে চরম হয়রানির শিকার হতে হল বাবাকে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দরজায় দরজায় ঘুরেছেন বাবা। বহুবার আকুতি জানিয়েছেন মেয়েকে তো বাঁচানো গেল না, অন্তত তার দেহ নিয়ে যাতে বাড়ি ফিরতে পারেন সে জন্য অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মেয়ে হারানো বাবার আর্জিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমলই দেয়নি। তিন ঘণ্টা ধরে সমানে আর্জি জানিয়ে গেলেও হাসপাতাল কোনও ব্যবস্থা করেনি বলে অভিযোগ। উপরন্তু একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেয়ের দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য শোকার্ত বাবাকে ডিজেল কিনে আনতে নির্দেশ দেন জেলা হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট এ কে শর্মা। এমন অভিযোগ ওঠায় সমালোচনার মুখে হাসপাতালের ভূমিকা।
তবে শুধু এ ক্ষেত্রে নয়, অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে হয়রানির খবর মাঝমধ্যেই খবরে আসে। করোনায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। জীবন-মৃত্যুর মাঝে দাঁড়িয়ে শুধু অ্যাম্বূল্যান্সের না পাওয়ায় আজও মারা যান অনেকেই। প্রাণ যায় বহু শিশুরও।সম্প্রতি কেরলে ৯৫ বছরের বৃদ্ধাকে নিয়ে যেতে অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য একের পর এক হাসপাতালে ফোন করেছিলেন পরিবার-পরিজন। কিন্তু মুখ ফিরিয়ে নেয় সবাই। এরপর গাড়িতে করে কোনওমতে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও আর বাঁচানো যায়নি।