উসমান আহমেদ নামে পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মিরাটের হিন্দু অধ্যুষিত মালিওয়ারা এলাকার এক হিন্দু ব্যবসায়ীর দোতলা বাড়ির একটি অংশ কেনেন। ২৮ লক্ষ টাকায় তাঁকে ওই অংশ বিক্রি করেন সঞ্জয় রাস্তোগি নামে ওই ব্যবসায়ী। ওই সম্পত্তি নথিভুক্ত হয় উসমানের বড় ভাই নৌমানের নামে। ১৭ ডিসেম্বর উসমানের পরিবার নতুন বাড়িতে থাকার জন্য আসে। আনুষ্ঠানিক ভাবে বিক্রি হওয়া বাড়ির অংশটি নৌমানের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য রাস্তোগিও আসেন। কিন্তু আপত্তি তোলেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা ওই সম্পত্তি নৌমানকে বিক্রির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। চলে আসেন স্থানীয় কর্পোরেটর সহ রাজনীতির কারবারীরা। পুলিশও চলে আসে বিষয়টি মিটিয়ে দিতে। বিজেপির যুব শাখা ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক দীপক শর্মা বলেন, হিন্দুরা একের পর এক সম্পত্তি মুসলিমদের বেচে দিচ্ছে। তাঁকে উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমে বলা হয়, ওদের সংস্কৃতি, আদবকায়দা, চিন্তাভাবনা, জীবনযাত্রা, সবই আমাদের থেকে আলাদা। এমন একটা সময় আসবে যখন এলাকা মুসলিমে ভরে যাবে, ওরাই সংখ্যাগুরু হয়ে উঠবে।
উসমানকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, মালিওয়ারায় তাঁরা ওই বাড়ি কিনেছেন একটাই কারণে, তাঁর বাবা যে স্কুলে কাজ করেন, সেটা ওই বাড়ির কাছেই।
এ ঘটনার পরদিনই মিরাটের বজরং দলের আহ্বায়ক বলরাজ দুঙ্গার বিবৃতি দিয়ে অভিযোগ করেন, ওখানকার নানা জায়গায় মুসলিমরা আধিপত্য, প্রভাব খাটানোর উদ্দেশ্যে হিন্দু তল্লাটে ঘরবাড়ি, সম্পত্তি কিনছে। তাঁকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, সংখ্যলঘু সম্প্রদায়ের হিন্দু মহল্লায় বাড়ি কেনার পিছনে 'কু মতলব' আছে। এভাবে এক সময় হিন্দু বাসিন্দারা এলাকা ছেড়ে দলে দলে চলে যাবেন। এটা 'ল্যান্ড জেহাদ' বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
যদিও এএনআইয়ের খবর, মিরাটের এসএসপি মান সিংহ চৌহানের দাবি, ঘটনাটি যত বড় করে দেখানো হচ্ছে, তত গুরুত্বপূর্ণ নয়। সামান্য ব্যাপার। দুপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টা মিটিয়েও ফেলা হয়েছে।