লখনউ: এ রাজ্যে তেমন চল নেই। কিন্তু দেশের অনেক জায়গায় জাত উল্লেখ করা স্টিকার গাড়ি বা মোটর সাইকেলে সাঁটিয়ে অনেকে দেমাক দেখিয়ে থাকেন। এর বিরুদ্ধে এবার সক্রিয় হল উত্তর প্রদেশ পুলিশ। যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, গাড়িতে জাত লাগানো স্টিকার থাকলেই তা বাজেয়াপ্ত করবে তারা।

জাতপাত বিদীর্ণ উত্তর প্রদেশে গাড়ির উইন্ডস্ক্রিন বা নাম্বার প্লেটে নিজের জাত উল্লেখ করে স্টিকার সেঁটে অনেকেই কলার তুলে থাকেন। যাদব, জাঠ, গুর্জর, ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়- এমনই আত্মপরিচয় প্রচার করা স্টিকার লাগানো থাকে গাড়িতে। এতে সামাজিক প্রতিপত্তি যেমন বোঝা যায়, তেমনই জানা যায় রাজনৈতিক দিক থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কতটা মর্যাদা। কিন্তু যোগী রাজ্য এবার জানিয়ে দিয়েছে, জাতপাত নিয়ে আত্মম্ভরিতা ছড়ানোর এই পন্থা তারা আর মেনে নেবে না। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের নির্দেশে রাজ্য পরিবহণ দফতর জাতের স্টিকার লাগানো গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে।

এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রথম আবেদন করেন মহারাষ্ট্রের জনৈক শিক্ষক হর্ষল প্রভু। নালিশ জানানোর জন্য তৈরি সিস্টেম IGRS-এ চিঠি লিখে তিনি বলেন, এ ধরনের স্টিকার সামাজিক বোঝাপড়া নষ্ট করতে যথেষ্ট। প্রধানমন্ত্রীর অফিস সেই চিঠি উত্তর প্রদেশ সরকারকে পাঠিয়ে দেয়। পরিবহণ দফতরের ডেপুটি কমিশনার ডিকে ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, এ ধরনের স্টিকার আর গাড়িতে লাগানো চলবে না। যাঁরা এই কাজ করবেন তাঁদের গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হবে। রাজ্য এনফোর্সমেন্ট টিম জানিয়েছে, প্রতি ২০টি গাড়ি পিছু একটি গাড়িতে এ ধরনের স্টিকার দেখা গিয়েছে। সদর দফতর নির্দেশ দিয়েছে, এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।

অভিযোগ, সমাজবাদী পার্টির আমলে, মুলায়ম সিংহ যাদব যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই ২০০৩-০৭ সালে গাড়িতে জাতপাতের উল্লেখ করা স্টিকার সাঁটা তুমুল জনপ্রিয় হয়। এসইউভি আর মোটরসাইকেলে বোল্ড লেটারে যাদব লেখা স্টিকার স্ট্যাটাস সিম্বল হয়ে ওঠে। তার বিরুদ্ধেই যোগী সরকারের এই পদক্ষেপ।