নয়াদিল্লি: হাসপাতালেই মেয়েটি অপেক্ষা করেছিল, যদি ভাই রাখি নিয়ে আসে তবে সে পরিয়ে দেবে। কিন্তু রাখি পরানোর পরিস্থিতি তৈরিই হল না। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল কিশোরীর।ভাই মৃতদেহ ছুঁতে পর্যন্ত পারলো না। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বরেলি জেলার। পরিবারের তরফে অভিযোগ, চিকিৎসার অবহেলার জন্যই এই মৃত্যু। মেয়েটির বাবা-মা জানিয়েছেন যে তিন দিন আগেই হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও ডাক্তারদের গাফিলতিতেই এই পরিণতি হল। কোনও রকম চিকিৎসাই হয়নি মেয়েটির।

মানদানা এলাকার সাবাল গ্রামে একাদশ শ্রেণিতে পড়ত মেয়েটি। পেটে অসহ্য ব্যথা অনুভূত হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তিন দিন আগে। কোভিড টেস্ট করে তার রেজাল্ট পজিটিভ আসে।তাকে তখন জেলা হাসপাতালের কোভিড-টু ওয়ার্ডে নিয়ে রাখা হয়। মেয়েটির মা সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘আমার মেয়ে আমায় বলেছিল যে ওকে ডাক্তাররা একেবারেই দেখছে না। শুধু নার্সরা তাকে খাবার আর ওষুধ দিচ্ছে।চিকিৎসকদের অবহেলার মাঝে না ফেলে রেখে যদি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আইসোলেশনে রাখতাম তাহলে হয়তো মেয়েকে এভাবে মরে যেতে হতো না।‘

মেয়েটির ভাই জানিয়েছে, ‘এই বছর বোন কেমন করে রাখি দেবে তা নিয়েও আমার ফোনে কথা হয়েছিল। বোন জানিয়েছিল যদি হাসপাতালে রাখি নিয়ে আসা সম্ভব হয় তবে সে পরিয়ে দেবে। কিন্তু আক্ষেপের বিষয়, ও যে কোভিডে মারা গেল, তাই রাখি পরা তো দূরের কথা, মৃতদেহ ছুঁতে পর্যন্ত পারলাম না।‘