দেরাদুন: নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের হোলির রং আরও গাঢ় করল উত্তরাখণ্ড। মোদী-ঝড়ের ওপর ভর করে উত্তরপ্রদেশের মতো, এই পাহাড়ি রাজ্যেও, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল বিজেপি! ১০ বছর পর ফের উত্তরাখণ্ডের কুর্সি দখল করল তারা।
উত্তরাখণ্ড বিধানসভার ৭০টি আসনের মধ্যে বিজেপি একাই ৫৭টি আসন দখল করেছে। কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে মাত্র ১১টি। অন্যান্য ২। এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেন, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে অপ্রত্যাশিত জয় পেয়েছে বিজেপি। সম্ভবত স্বাধীন ভারতের বুকে সবচেয়ে বড় জয়।
যাঁকে মুখ করে উত্তরাখণ্ডে ভোটে লড়েছিল কংগ্রেস, সেই হরিশ রাওয়াতকেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। এবার কিছা ও হরিদ্বার গ্রামীণ আসন থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু দুটিতেই বিজেপির কাছে হেরে গিয়েছেন রাওয়াত। হরিদ্বার গ্রামীণে তাঁর হারের ব্যবধান ১২ হাজার ২৭৮। কিছায় মাত্র ২ হাজার ১৫৪ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন তিনি।
৯ কংগ্রেসি বিধায়ক বিজেপি শিবিরে নাম লেখানোয়, গত বছর উত্তরাখণ্ডে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ করে মোদি সরকার। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস।
সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে, গত বছরের ১০ মে, উত্তরাখণ্ডে আস্থা ভোট হয়। ৩৩টি ভোট পেয়ে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে কংগ্রেস সরকার। ফের মসনদে ফেরেন হরিশ রাওয়াত। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না!
কার্যত কংগ্রেস ভাঙিয়েই উত্তরাখণ্ডে কংগ্রেসকে হারালেন মোদি! যার জেরে অনেকেই কৌতুকের সুরে প্রশ্ন করছেন, তাহলে কি উত্তরাখণ্ডে মোদীর কংগ্রেসের কাছে রাহুলের কংগ্রেসের হার হল? অমিত শাহর কটাক্ষ, বিরোধীদের মানতে হবে যে আজকের জয়ের পর স্বাধীনতা পরবর্তীকালে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হিসাবে উঠে এসেছেন নরেন্দ্র মোদী। এবার প্রশ্ন, উত্তরাখণ্ডে কাকে মুখ্যমন্ত্রী করবে বিজেপি? সূত্রের খবর, লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছেন, প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল ও বি সি খাণ্ডুরি।