দেরাদুন: পাসপোর্টে ছাড়পত্র দেওয়ার আগে আবেদনকারীর সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহার খতিয়ে দেখবে উত্তরাখণ্ড পুলিশ। উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি অশোক কুমার জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির ক্রমবর্ধমান অপব্যবহার বন্ধ করতে পাসপোর্ট আবেদনকারীদের অনলাইনে আচরণ তাঁরা খুঁটিয়ে দেখবেন। তারপর নেওয়া হবে তাঁকে পাসপোর্ট দেওয়া হবে কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত।

উত্তরাখণ্ড ডিজিপি এ ব্যাপারে রাজ্যের বরিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে ঠিক হয়, পাসপোর্ট আবেদনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় আচরণ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার অন্যতম অংশ করা হবে। অশোক কুমার বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির যেভাবে অপব্যবহার চলছে, তাই সঙ্কট যাতে না বাড়ে তা নিশ্চয় করার জন্য এই পদক্ষেপ জরুরি ছিল। যদিও তাঁর দাবি, এই পদক্ষেপ নতুন বা আচমকা এমন কিছু নয়, পাসপোর্ট আইনে এই ধারা আগে থেকেই ছিল, তা শুধু এখন থেকে বলবৎ করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, পাসপোর্ট আইনে একটি ধারা আছে, যাতে বলা হয়েছে, দেশবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত কাউকে নথিপত্র ইস্যু করা উচিত নয়। সেই ধারা চালু করার কথাই তিনি শুধু বলেছেন।

একজন পুলিশ অফিসার হিসেবে সংবিধানকে রক্ষা করে চলা আমার কর্তব্য, যা দেশবিরোধী শুধু তারই বিরোধিতা করছি। ডিজিপি বলেছেন। যেভাবে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন দিল্লিতে ট্র্যাক্টর মিছিলের সময় উত্তেজনা ছড়াতে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করা হয়েছিল, তার উদাহরণ দিয়েছেন তিনি। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, যাতে অপরাধীরা বুঝতে পারে, তাদের কৃতকর্মের দায় তাদেরই নিতে হবে। ডিজিপি বলেছেন।

আগে পুলিশ শুধু দেখত, পাসপোর্ট আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর আছে কিনা। কিন্তু কিছুদিন আগে একটি পুলিশ কনফারেন্স হয়, সেখানে আলোচনা হয়, সোশ্যাল মিডিয়ার উত্তেজনা ছড়ানোর ক্ষমতা ও এর ফলে তৈরি হওয়া একাধিক অশান্তির ঘটনা নিয়ে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, সম্পূর্ণ ভুয়ো খবরের ওপর ভিত্তি করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উত্তেজনা ছড়ানো হয়েছে। তাই কনফারেন্সে ঠিক হয়, পাসপোর্ট আবেদনকারীর সোশ্যাল মিডিয়া আচরণও নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়ার আগে খতিয়ে দেখা হবে।