নয়াদিল্লি: করোনা আবহ, লকডাউন পরিবেশে দেশের নানা প্রান্ত থেকেই বার বার ফাঁকা রাস্তায় ভয়ানক গতিতে বাইক চালানোর অভিযোগ আসছে মাঝে-মধ্যেই। পুলিশ ধরতে পারলেই মোটা টাকা জরিমানা করছে চালককে। কখনও বাইক বাজেয়াপ্ত করছে। এবারের ঘটনাটি উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুরের। ভয়ানক গতিতে রাতে বাইক চালাচ্ছিলেন যুবক। মাথায় ছিল না হেলমেট। পড়লেন পুলিশের খপ্পরে। কিন্তু তার পরের ঘটনাটি অমানবিক। অন্যায়ের শাস্তি হিসেবেই যুবকের কপালে চাবি গুঁজে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত।


জানা যাচ্ছে, রামপুর গ্রামের বাসিন্দা দীপক এক বন্ধুর সঙ্গে গত সোমবার রাতে বাইকে তেল ভরতে যান। ফেরার সময় টহলদার পুলিশ তাঁদের দাঁড়াতে বলে। কিন্তু তাঁরা দ্রুতগতিতে পালানোর চেষ্টা করেন। তখনই এক পুলিশকর্মী বলপূর্বক দীপকের বাইক থামান। এবং তাঁর কপালে নিজের বাইকের চাবিটি খুঁচিয়ে ঢুকিয়ে দেন।


রাজ্য পুলিশের ডিজি অশোক কুমার বলেন, ‘আমি খোঁজ নিয়েছি। পুলিশকর্মীরা জানান, জোরে বাইক চালানো দেখে গাড়ি থামাতে বলেন। কিন্তু ওই ব্যক্তি বাইক না থামিয়ে স্পিড বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তার জেরেই উত্তেজনার মাঝে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন।’


নিষ্ঠুর ব্যাপারটা মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি।এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। থানা ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা। তাঁরা ঘটনায় যুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি তোলেন। জনতাকে সরাতে পুলিশ লাঠি চালায়। অফিসাররা জানান, ইঁট-পাথর ছোঁড়া হয়েছে পুলিশকে লক্ষ্য করে। পরে আরও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে।


পুলিশ সুপার দলীপ সিং কুনওয়ার জানান, চাবি দিয়ে খোঁচানোয় অভিযুক্ত এক সাব- ইনস্পেক্টর এবং দুই হাবিলদারকে ইতিমধ্যেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বাজপুরের সার্কেল অফিসার  ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করছেন বলে আশ্বস্ত করেছেন কুনওয়ার।