দেহরাদূন:  তবলিঘি জামাতে যে সদস্যরা সম্প্রতি কোনও ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করতে কড়া হুঁশিয়ারি দিল উত্তরাখণ্ড পুলিশ। ৬ এপ্রিল বা সোমবারের মধ্যে তাঁদের রিপোর্ট করতে হবে। তা  করা না হলে পরবর্তী সময়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনার সঙ্গে কোনও যোগ খুঁজে পাওয়া গেলে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে পুলিশ সতর্ক করে দিয়েছে।


উত্তরাখণ্ডে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ১৯। এরমধ্যে ১৬ জনই তবলিঘি জামাতের সঙ্গে যুক্ত। দেহরাদূন, নৈনিতাল, হরিদ্বর ও উধম সিংহ নগর জেলায় এই সংক্রমণের ঘটনাগুলি ঘটেছে।

গত রবিবার উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি অনিল কে রাতুরি তবলিঘি জামাতের সদস্যদের কাছে আবেদন জানান যে, তাঁদের কেউ যদি সম্প্রতি কোনও ধর্মীয় সমাবেশ যোগ দিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁরা যেন ৬ এপ্রিলের মধ্যে পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে হাজির হন। তাঁদের মেডিক্যাল পরীক্ষা হবে এবং কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হবে ও প্রয়োজন থাকলে মেডিক্যাল সহায়তা দেওয়া হবে।

একইসঙ্গে ডিজিপি বলেন, ৬ এপ্রিলের পর পুলিশ ও প্রশাসন যদি জানতে পারে যে, কেউ নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়েছেন, তাহলে খুনের প্রচেষ্টার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির অন্যান্য ধারায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সংক্রমণের কারণে সংশ্লিষ্ট গ্রাম বা এলাকায় কেউ মারা গেলে, খুনের মামলা দায়ের করা হবে বলেও তিনি জানান।

রাতুরি জানান, গোয়েন্দা বিভাগ ও প্রশাসন এবং পুলিশের আধিকারিকরা তবলিঘি জামাতের যে সমস্ত সদস্য সম্প্রতি নিজামুদ্দিনে গিয়েছিলেন এবং উত্তরাখণ্ডে ফিরে এসেছেন, তাঁদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

গত ১ মার্চের পর তবলিঘি জামাতের কার্যক্রমে অংশ নিয়ে উত্তরাখণ্ডে অন্য রাজ্যগুলি থেকে আসা ৩২৫ জনের তালিকা তৈরি করেছে পুলিশ। এরমধ্যে নয়জন রাজ্য ছেড়ে গিয়েছেন। শনিবার পর্যন্ত ২৬০ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

এছাড়াও ১ মার্চের পর উত্তরাখণ্ডের ৩৮৩ জন তবলিঘি জামাতের অংশ হিসেবে রাজ্যের বাইরে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২৬ জন এখনও ফেরেননি। বাকিদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।