নয়াদিল্লি: ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) পার্লামেন্ট পেশ হতে চলেছে ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী প্রস্তাব। এই ঘটনায় মোদি সরকারের বিদেশ নীতির ব্যর্থতার সমালোচনায় সরব কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। তিনি বলেছেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কখনও কল্পনাও করতে পারিনি যে, ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয় ইইউ-তে এবং আমেরিকাতে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠবে। এটা আমাদের বিদেশনীতির চূড়ান্ত ব্যর্থতা যে সরকার বিষয়টির ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হয়নি। তা সিএএ-র ফলে তাঁদের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে বলে যাঁরা আতঙ্কিত হয়েছেন, দেশের এমন লক্ষ লক্ষ মানুষের মধ্যে অসন্তোষের ফলাফল’।
ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যদের সিএএ সংক্রান্ত খসড়া প্রস্তাব উত্থাপনের উদ্যোগ সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেছেন সিব্বল। তিনি বলেছেন, ‘এটা আমাদের পক্ষে দুঃখের দিন। সিএএ-র কারণে দেশে যা ঘটছে, তা নিয়ে ইইউ-তে পাঁচটি প্রস্তাব এবং একটি তাদের (সরকারের) পক্ষে, কারণ আমি মনে করি তারা যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বাস্তব হল যে, ইইউ-র প্রস্তাব দেখিয়েছে যে, তারা কাশ্মীর ও সিএএ ইস্যুর আন্তর্জাতিকীকরণ ঘটাচ্ছে’।
প্রাক্তন আইনমন্ত্রী বলেছেন, ইইউ প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সিএএ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওযা হলে বহু মানুষ দেশহীন হয়ে পড়বে।
সিব্বল বলেছেন, ‘সরকার লোকজনের উদ্বেগ বুঝতেও আগ্রহী নয়, এবং সব কিছু ঠিক করতে তাদের সঙ্গে কথা বলতেও ইচ্ছুক নয়। সম্ভবত ওরা মনে করছে যে, সমাজে বিভাজন ঘটিয়ে ফায়দা পাওয়া যাবে এবং সেজন্যই বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ বলছেন যে, আকবরপুরে জোরে বোতাম টিপলে কারেন্ট পৌঁছবে শাহিনবাগে’।
জানা গেছে, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সিএএ বিরোধী প্রস্তাবে বিতর্ক ও ভোটাভুটি করতে চাইছে। সিএএ-কে ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয় বলে বিভিন্ন সূত্রে বলা হয়েছে যে, ওই আইন সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ের যথার্থ ও পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা জানতে ইইউ-র উচিত ভারত সরকারের সঙ্গে কথা বলা।