তিরুঅনন্তপুরম ও চেন্নাই:  শনিবার বিজেপি সরকার ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসার পর সেখানকার বেলোনিয়া শহরে প্রথম ভাঙা হয় লেনিনের মূর্তি। সেখানেই থামেনি দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। মূর্তি ভাঙার পর ভারত মাতা কি জয় স্লোগান দিতে দিতে সেখান থেকে চলে যায় হামলাকারীরা। তারপর দেশজুড়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। যদিও সমালোচনার মুখেও মূর্তি ভাঙার স্বপক্ষে নিজেদের মতো করে মত প্রকাশ করতে থাকেন বিজেপির বিভিন্ন নেতারা। এরমধ্যেই ওই একইদিনে ফের দক্ষিণ ত্রিপুরায় ভেঙে ফেলা হয় আরও এক লেনিন মূর্তি। তারপর মঙ্গলবার সকালে কলকাতায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি, মেরঠে অম্বেদকর মূর্তি এবং তামিলনাড়ুতে পেরিয়ারের মূর্তি ভাঙা হয়।

এরপরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র।  মূর্তি ভাঙার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে রাজ্যগুলিকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে।  হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কিন্তু তাতেও যে কেউ কোনও কর্ণপাত করেনি, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল। কেরলের কান্নুরে বৃহস্পতিবার সকালে ফের ভাঙা হল মহাত্মা গাঁধীর মূর্তি। চেন্নাইয়ে কালি মাখানো হল অম্বেদকরের মূর্তিতে।

সূত্রের খবর, হামলাকারীরা কান্নুরে গাঁধীর চশমা ভেঙে দিয়েছে। এই কাজের পিছনে কারা রয়েছে, তাদের এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, বুধবারই দেশের বিভিন্ন জায়গায় এভাবে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সমাজ সংস্কারকদের মূর্তি ভাঙার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে রাজ্যগুলিকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সব রাজ্যকে এই ধরনের ঘটনা রোখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে। দোষীদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশিকা জারি হয়েছে।