তামিলনাড়ুর সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছিল, ‘বন্দেমাতরম প্রথমে কোন ভাষায় লেখা হয়?’ কে বীরামণি নামে ওই পরীক্ষার্থী বলেছেন, উত্তরপত্রে তিনি লেখেন, ‘বন্দেমাতরম’ বাংলাতে লেখা হয়েছিল। কিন্তু বোর্ড সেই উত্তরকে ভুল আখ্যা দেয়। এর ফলে মাত্র ১ নম্বরের জন্য তিনি শিক্ষক পদে নিয়োগ হওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সেই কারণেই আদালতের দ্বারস্থ হন বীরামণি। তিনি দাবি করেন, সব বইতেই লেখা রয়েছে, প্রথমে বাংলায় লেখা হয় বন্দেমাতরম।
বীরামণির দায়ের করা মামলার প্রথম শুনানিতে গত ৭ জুন অভিযোগকারীর আইনজীবী দাবি করেন, বাংলা ও সংস্কৃত দুটি ভাষাতেই বন্দেমাতরম লিখেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র। অন্যদিকে, অ্যাডভোকেট জেনারেল পাল্টা দাবি করেন, প্রথমে সংস্কৃততেই লেখা হয়েছিল বন্দেমাতরম। পরে সেটি বাংলায় অনুবাদ করা হয়। এরপর অ্যাডভোকেট জেনারেলকে ঠিক উত্তর দিতে বলেন বিচারপতি এম ভি মুরলীধরন। আজ সেই জবাব দিয়েছেন মুথুকুমারস্বামী।