মুম্বই: জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) নেতা ভাইয়াজী জোশী। তিনি সংবিধান স্বীকৃতি জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে  ‘জনগণমন’ সম্পর্কে কার্যত তাঁর আপত্তি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে বলেছেন, গেরুয়া ঝান্ডাকে জাতীয় পতাকা হিসেবে মানা হলে তা ভুল হবে না। এক্ষেত্রে তাঁর দাবি,  গেরুয়া ঝান্ডা আগে হয়েছে। তিরঙ্গা পরে হয়েছে।
মুম্বইয়ে দীনদয়াল উপাধ্যায় ইন্সস্টিটিউটে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরএসএস-এর সাধারণ সম্পাদক জোশী বলেন, ‘জনগণমন’ এখন আমাদের জাতীয় সঙ্গীত। এর প্রতি শ্রদ্ধা রাখতে হবে। এই সঙ্গীতে দেশপ্রেম ছাড়া অন্য কোনও অনুভূতির প্রশ্নই নেই।
একইসঙ্গে জোশী বলেন, কিন্তু সংবিধানের সিদ্ধান্ত অনুসারে ‘জনগণ’ জাতীয় সঙ্গীত  হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে 'বন্দেমাতরম'-ই আসল জাতীয় সঙ্গীত। সংবিধান অনুসারে 'জনগণ'-কে জাতীয় সঙ্গীত বিবেচনা করা হয়।
জোশী বলেছেন, “ ‘জনগণ’ কখন লেখা হয়েছিল? কিছুদিন আগে তা লেখা হয়। 'জনগণ'-তে যে অনুভূতি প্রকাশিত হয়েছে তা , রাষ্ট্রের কথা মাথায় রেখে তা করা হয়েছে’’। তিনি আরও বলেছেন, 'বন্দেমাতরম'-এ যে অনুভূতি রয়েছে তা দেশের চরিত্র ও ভাবধারা তুলে ধরেছে। এই ক্ষেত্রেই ‘জনগণমন’ ও 'বন্দেমাতরমে'র পার্থক্য। তবে দুটি সঙ্গীতকেই সম্মান করতে হবে।
উল্লেখ্য, বঙ্গিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 'বন্দেমাতরম' কবিতা হিসেবে লিখেছিলেন। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে ওই 'বন্দেমাতরম'।
১৯৫০-এ বঙ্কিমচন্দ্রের কবিতার প্রথম দুটি স্তবককে ‘জাতীয় গান’ হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হয়। জাতীয় সঙ্গীত হয় জনগণ।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতের ভারত মাতা কি জয় সংক্রান্ত মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের মধ্যে এই মন্তব্য করলেন জোশী।