নয়াদিল্লি: ট্যুইটে ইচ্ছা করেই অরুণ জেটলির নামের ভুল বানান লিখে 'জেটলাই' বলে কটাক্ষ করে তাঁর সম্মানহানি করেছেন, রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ কার্যত মেনে নিয়ে তাঁকে স্বাধিকার নোটিস দিলেন রাজ্যসভা চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। বিষয়টি স্বাধিকার কমিটিতে পাঠানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এর মধ্যে স্বাধিকারের ব্যাপার রয়েছে, প্রাথমিক ভাবে এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মত বেঙ্কাইয়ার, জানিয়েছে সূত্রটি। স্বাধিকার নোটিসটি তিনি পাঠিয়েছেন লোকসভা স্পিকার সুমিত্রা মহাজনকে, পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।


রাহুলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ আগেই প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর নেতৃত্বাধীন লোকসভার এথিকস কমিটির বিবেচনায় রয়েছে।

রাহুল ট্যুইটে লেখেন, প্রিয় শ্রী জেটলাই, আমাদের প্রধানমন্ত্রী কখনই যা বলেন, আসলে সেটা বলতে চান না আর যা বলতে চান, সেটা বলেন না, ভারতকে এটা মনে করিয়ে দেওয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ। রাহুল ট্যুইটটি পোস্ট করেন গুজরাতের ভোটপ্রচারের সময় প্রধানমন্ত্রীর মোদীর ভাষণের একটি ভিডিও ক্লিপের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে, রাজ্যসভায় জেটলির বক্তব্যেরও উল্লেখও করেন। ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, নয়াদিল্লিতে সাসপেন্ড কংগ্রেস নেতা মনিশঙ্কর আয়ারের বাসভবনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রমন্ত্রী হামিদ আনসারি, পাকিস্তান হাইকমিশনার ও তাদের প্রাক্তন বিদেশসচিবের 'গোপন বৈঠকের' কথা বলছেন মোদী।

রাহুলের বিরুদ্ধে স্বাধিকার নোটিস দেন বিজেপি নেতা তথা লোকসভা সদস্য ভূপিন্দর যাদব। তাঁর অভিযোগ, রাহুল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও সভার নেতা অরুণ জেটলিকে 'জেটলাই' বলে তাঁর নাম বিকৃত করেছেন, এতে স্বাধিকার ভঙ্গ হয়েছে। এটা 'পরিকল্পিত', 'ইচ্ছাকৃত বিকৃতি', 'অত্যন্ত অবমাননাকর'। সরকারের অসম্মান করতে তিনি রাজ্যসভার কার্যবিবরণীর অপব্যাখ্যা করেছেন, যা সভার মর্যাদা হানি করেছে। দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ কলুষিত করাও এর উদ্দেশ্য ছিল বলে অভিযোগ করেন যাদব। তিনি জানতেও চান, স্বাধিকার নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে। বেঙ্কাইয়া সভার সদস্যদের জানান, বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে, শীঘ্রই তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।

প্রত্যাশিত ভাবেই রাহুলের হয়ে মুখ খুলে কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি সম্পর্কে গুজরাত ভোটের প্রচারে নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্য টেনে এনেছেন। শাসক দলকে নিশানা করে তাঁর বক্তব্য, এই সরকারের নেতা-মন্ত্রীরাও এ ধরনের নানা মন্তব্য করেছেন যা, স্বাধিকার ভঙ্গের পর্যায়ে পড়ে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই অতীতে সাংবাধিনিক পদাধিকারী ছিলেন, এমন লোকজনের বিরুদ্ধে অসঙ্গত মন্তব্য করেছেন। পরে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, আসলে তা বলতে চাননি।