ফল প্রকাশের পর ট্যুইট করে বেঙ্কাইয়াকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোপালকৃষ্ণও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি যে সাংসদদের সমর্থন পেয়েছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। গোপালকৃষ্ণর বক্তব্য, বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাঁকে যেভাবে সমর্থন করেছেন, তাতে তিনি অভিভূত। প্রত্যাশার চেয়েও ভাল ফল হয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদ বলেছেন, জয় হোক বা পরাজয়, বিরোধীরা নীতির ক্ষেত্রে আপস করবে না। যাঁরা এনডিএ-র বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন তাঁদের ধন্যবাদ।
আজ উপ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মোট ৭৮৫টির মধ্যে ভোট পড়ে ৭৭১টি। শতাংশের বিচারে হার ৯৮.২১। ভোট দেননি মোট ১৪ জন সাংসদ। তাঁদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সাংসদের সংখ্যা পাঁচ। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস পাল, প্রতিমা মন্ডল, কুণাল ঘোষ ও কংগ্রেসের মৌসম বেনজির নূর। সন্ধ্যা ৬টায় ভোটগণনা শুরু হবে বলে জানান অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার মুকুল পান্ডে। সন্ধে সাতটায় ফল ঘোষণা করা হয়। ৭৬০টি বৈধ ভোটের মধ্যে বেশিরভাগই গিয়েছে বেঙ্কাইয়ার ঝুলিতে। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ অনেকটাই পিছিয়ে।
এর আগে বিজেপি নেতারা জানান, সানোয়ারলাল জাঠ ও বিজয় গোয়েল নামে তাঁদের দুজন সদস্য অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকায় ভোট দিতে পারেননি। প্রসঙ্গত, রাজ্যসভা ও লোকসভা মিলিয়ে মোট ভোটদাতা ৭৯০। তবে বিচার বিভাগের রায়ে এক বিজেপি লোকসভা সদস্য ভোট দেওয়ার অধিকার খুইয়েছেন। তাছাড়া সংসদের দুই কক্ষেই দুটি করে আসন খালি রয়েছে।
আজ সকাল দশটা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। অঙ্কের হিসেবে এগিয়েই ছিলেন বেঙ্কাইয়া। প্রত্যাশামতোই তিনি জয়ী হলেন। বেঙ্কাইয়া ভোটপর্ব চলার মধ্যেই মন্তব্য করেন, তিনি এখন দলহীন লোক, কোনও দলেরই সদস্য নন। বলেন, আমার দল, আপনার দল বলে কিছু নেই। আমি এখন কোনও দলেরই নই। দেশের বেশিরভাগ দলই আমার প্রার্থীপদ সমর্থন করছে। তাঁরা সবাই আমায় ভোট দেবেন, আশাবাদী আমি। সাংবাদিকদের বেঙ্কাইয়া বলেন, লোকসভা, রাজ্যসভার সব সাংসদই তাঁকে চেনেন, তাই তিনি ভোট চাইছেন না বা প্রচারও করছেন না। তিনি শুধু বিনম্র ভাষায় প্রত্যেককে একটি চিঠি লিখেছেন। খুব ভাল সাড়া মিলেছে। লোকে আমার প্রশংসা করেছে। সকলে আমায় সমর্থন করবে বলে নিশ্চিত আমি। রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্কে কিছু বলতে নারাজ বেঙ্কাইয়া। তাঁর মন্তব্য, কারও বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাই না। কোনও ব্যক্তির বিপক্ষে লড়ছি না। কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বাছাই করা প্রার্থী হিসাবে দেশের উপরাষ্ট্রপতি পদের ভোটে লড়ছি। কোনও ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে আমার লড়াই নয়। এটা যেহেতু কোনও পার্টি নির্বাচন নয়, ভারতের পবিত্র উপরাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচন, তাই এখানে রাজনীতির কথা না হওয়াই বাঞ্ছনীয় বলে অভিমত জানান তিনি।