অযোধ্যা: রাম মন্দির নির্মাণের দাবিতে অযোধ্যায় আজ ধর্মসভা ডেকেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। দেশের নানা ক্ষেত্র থেকে সাধুসন্ত উপস্থিত হয়েছেন সরযূ নদীর তীরে এই নগরীতে। এসেছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের মত রাজনীতিকরাও। গতকাল সরযূতে আরতি করে উদ্ধব বলেছেন, তাঁরা কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙাতে এসেছেন, কবে মন্দির নির্মাণ শুরু হবে তার নির্দিষ্ট তারিখ চাই।



ধর্মসভার আয়োজকদের দাবি, অন্তত তিনলাখ রামভক্ত এই সভায় যোগ দেবেন। সভা বসবে বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ, চলবে চার ঘণ্টা। সাধুসন্তরা যেমন থাকবেন, তেমনই থাকবেন ভিএইচপি ও বিজেপির কর্মকর্তারা। কিন্তু মঞ্চে শুধু সাধুদেরই জায়গা দেওয়া হবে। ধর্মসভায় যোগ দিতে নেপাল থেকেও বহু সাধু সন্ন্যাসী এসেছেন। রামভক্তদের স্বাগত জানিয়েছেন বারাবাঁকির মুসলমান বাসিন্দারা।



ধর্মসভা ঘিরে কোনও অশান্তি যাতে না হয় তা নিশ্চিত করতে গোটা শহর মুড়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশে। রাজপথ, চৌমাথা ও বাজারগুলিতে থিক থিক করছে পুলিশ। আকাশপথে নজরদারি চালাচ্ছে ড্রোন ক্যামেরা। পুলিশ ছাড়াও মোতায়েন রয়েছে ৫ কোম্পানি আরপিএফ ও এটিএস কম্যান্ডো।



ভিএইচপি জানিয়েছে, রাম মন্দির নিয়ে এটাই তাদের শেষ বৈঠক। এর পর আর কোনও সভা বা বিক্ষোভ মিছিল হবে না, সোজা রাম মন্দির তৈরি হবে। সংগঠন সচিব ভোলেন্দ্র জানিয়েছেন, ১৯৫০ থেকে ১৯৮৫ পর্যন্ত ৩৫ বছর ধরে আদালতের নির্দেশের জন্য তাঁরা অপেক্ষা করেছেন। রায় দিতে ১৯৮৫ থেকে ২০১০ পর্যন্ত সময় লাগিয়েছে হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত শুনানির আর্জি ২ মিনিটে প্রত্যাখ্যান করেছে। রামলালা যে ৩৩ বছর ধরে তাঁবুতে বসবাস করছেন সেটা সকলের দুর্ভাগ্য।

ভিএইচপির ধর্মসভার পাশাপাশি কাশীতে শঙ্করাচার্য স্বরূপানন্দ সরস্বতীও আজ ধর্ম সংসদ ডেকেছেন। জানিয়েছেন, এই ধর্ম সংসদে যোগ দেবেন ১০০৮ জন সন্ত। তবে এই বৈঠকের কোনও কর্মসূচি নেই, বৈঠক শুরু হলে সিদ্ধান্ত হবে এ ব্যাপারে।