নয়াদিল্লি: প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব খারিজ করে দিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। আইনি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে খারাপ ব্যবহার বা অযোগ্যতার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তবেই তাঁকে ইমপিচ করা যায়। এই প্রথম প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পেশ করে বিরোধী দলগুলি। তবে যথেষ্ট প্রমাণের অভাবে সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেল।

শুক্রবার রাজ্যসভায় প্রধান বিচারপতির ইমপিচমেন্ট চেয়ে কংগ্রেস, সিপিএম, সিপিআই, এনসিপি, সপা, বসপা ও মুসলিম লিগের ৬৪ জন সাংসদের সই করা প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়। এরপর কংগ্রেস দাবি, করে অভিযোগমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বিচার বিভাগ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত প্রধান বিচারপতির। তবে আজ ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব খারিজ হয়ে যাওয়ায় স্বস্তি পেলেন বিচারপতি মিশ্র।



কংগ্রেস অবশ্য দমতে নারাজ। কংগ্রেস নেতারা আগেই জানিয়েছিলেন, রাজ্যসভায় ইমপিচমেন্ট নোটিস খারিজ হয়ে গেলে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাববেন। আজ উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এই সিদ্ধান্তের কথা জানানোর পর কংগ্রেস নেতা পি এল পুনিয়া জানিয়েছেন, বিরোধী দলগুলি আইনি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবে। বিরোধীদের আনা ইমপিচমেন্ট নোটিস নাকচ করায় পাল্টা কংগ্রেস বেঙ্কাইয়ার তীব্র সমালোচনা করে জানিয়েছে, তারা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে। বিষয়টি গভীর ভাবে খতিয়ে না দেখেই উপরাষ্ট্রপতি তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন শীর্ষ কংগ্রেস নেতা কপিল সিবল। বলেন, উনি যে 'বেআইনি রায়' দিলেন, তা দেশবাসীর আস্থা 'চুরমার করে দিয়েছে', দেশের আইন ব্যবস্থাকে বানচাল করেছে, সরকার এ ব্যাপারে তদন্তে আগ্রহী নয়।
একদিকে 'গণতন্ত্র প্রত্যাখ্যানকারী' শক্তিগুলির সঙ্গে অন্যদিকে 'গণতন্ত্র উদ্ধারকারী' কণ্ঠস্বরের লড়াই চলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সিবল বলেন, এই রায় অভূতপূর্ব, বেআইনি, ভুল পরামর্শে চালিত, চটজলদি বললেও কম বলা হয়। আমরা অবশ্যই এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দেব।