নয়াদিল্লি: সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি যে মন্তব্য করেছেন, নাম না করে তার সমালোচনা করলেন পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়া বেঙ্কাইয়া নাইডু। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এই প্রচার করা হয়।

আজ আনসারি বলেন, দেশে সংখ্যালঘুরা অস্বস্তিতে রয়েছেন। তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এই মন্তব্যের পাল্টা হিসেবে বেঙ্কাইয়া বলেছেন, ‘কিছু মানুষ বলছেন, সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নন। এটা একটা রাজনৈতিক প্রচার। সারা বিশ্বের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, সংখ্যালঘুরা ভারতেই সবচেয়ে সুরক্ষিত ও নিরাপদ। তাঁরা প্রাপ্য অধিকার পান। ভারতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে বলে যে প্রচার চলছে সেটাও ঠিক নয়। রাজনৈতিক নেতা নয়, জনগণ ও সভ্যতার কারণেই ভারতীয় সমাজ বিশ্বের সবচেয়ে সহিষ্ণু। এই সহিষ্ণুতার জন্যই এদেশে গণতন্ত্র এত সফল হয়েছে।’

প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া আরও বলেছেন, কোনও একটি গোষ্ঠীকে আলাদা করে দেখা উচিত নয়। এর ফলে অন্য গোষ্ঠীর মানুষ অসন্তুষ্ট হতে পারেন। সেই কারণেই সব গোষ্ঠীর মানুষকে সমানভাবে দেখা উচিত। তোষণ বাদ দিয়ে সবার জন্য ন্যায়বিচারের ব্যবস্থা করা উচিত। ইতিহাস প্রমাণ করেছে, ভারতে সংখ্যালঘুরা কোনওদিন অবিচারের শিকার হননি। তাঁরা সংবিধান অনুসারে যোগ্যতা অনুযায়ী প্রাপ্য অধিকার পেয়েছেন। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের জন্যই ভারত অনন্য। ভারতীয়দের রক্ত ও মস্তিষ্কে সর্বধর্ম সদ্ভাব ও ধর্মনিরপেক্ষতা রয়েছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে গোরক্ষকদের তাণ্ডব এবং গণপিটুনির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে সরব হয়েছেন আনসারি। তবে বেঙ্কাইয়া বলেছেন, ভারত একটি বিশাল দেশ। এই ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা বিচ্যুতি ছাড়া আর কিছু নয়। যদিও ধর্মের নামে সহ-নাগরিকদের উপ হামলার পক্ষে কোনও যুক্তি থাকতে পারে না। এই ধরনের ঘটনার নিন্দা এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। একইসঙ্গে রাজনৈতিক উদ্দেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ তৈরির জন্য এই ধরনের ঘটনাকে ব্যবহার করা উচিত নয়। অনেকে আবার আন্তর্জাতিক স্তরে এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়ে দেশের বদনাম করছেন। মূল সমস্যা হল ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষকে ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে দেখে রাজনৈতিক দলগুলি। ধর্মকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করা উচিত নয়।