মুম্বই: নববধূকে সতীত্ব প্রমাণের পরীক্ষা দেওয়ার রেওয়াজ বন্ধ করতে উদ্যোগী মহারাষ্ট্র সরকার। মহারাষ্ট্রে কানজারভাট সহ কয়েকটি সম্প্রদায়ে নতুন বিয়ে হওয়া মেয়েকে সতীত্ব প্রমাণের পরীক্ষা দিতে হয়। বিয়ের আগে সতীত্ব হারাননি তিনি, প্রমাণ করতে হয় তাঁকে। এবার মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রী রঞ্জিত পাতিল এ ব্যাপারে কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর জানালেন, শীঘ্রই নববধূকে সতীত্ব প্রমাণের পরীক্ষায় বসতে বাধ্য করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে। প্রতিনিধিদলটি এই প্রথা বন্ধ করার দাবি তোলে। দলে শিবসেনা মুখপাত্র নিলম গোরহে ছিলেন। স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সতীত্ব প্রমাণের পরীক্ষাকে এক ধরনের যৌন হেনস্থা বলে দেখা হবে। আইন ও বিচার দপ্তরের সঙ্গে আলোচনার পর এই প্রথাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ ঘোষণা করে সার্কুলার দেওয়া হবে।
কানজারভাট গোষ্ঠীর কিছু যুবক অনলাইনে ওই অপমানজনক প্রথার বিরুদ্ধে প্রচার করছেন।
জাতীয় মহিলা কমিশনও সম্প্রতি ওই প্রথাকে পশ্চাদমুখী, নারীবিদ্বেষী ও মানুষের মৌলিক মর্যাদা, সম্মানের পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা মহারাষ্ট্রের মহিলা ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী পঙ্কজা গোপীনাথ মুন্ডেকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আবেদন করেন। সম্প্রতি মিডিয়া রিপোর্টে পুণেতে কানজারভাট গোষ্ঠীতে নববধূকে সতীত্ব পরীক্ষা দিতে বাধ্য করার দুটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর সক্রিয় হয় কমিশন। বলে, তারা এতে খুব উদ্বিগ্ন। শর্মা বলেন, আগামী দিনে এর পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর শাস্তির সংস্থান রাখা উচিত।